তৃপ্তি পাল কর্মকার: আবার দেবের মানবিক মুখ। ঘাটাল মহকুমার এক দুঃস্থ পরিবারের ছাত্রের চোখের দৃষ্টি ফেরাচ্ছেন ঘাটালের সাংসদ দীপক অধিকারী তথা দেব। দেবের মানবিক পরিচয় ঘাটাল মহকুমার মানুষ আগেও দেখেছে। এবার সেই তালিকায় একটি সংযোজন হল।[•এই খবর সম্পর্কিত ভিডিওটি দেখতে চাইলে ▶এখানে ক্লিক করতে পারেন।]
বাবা আজিয়ার রহমান খান গ্রামে গ্রামে ঘুরে ঘুরে গৃহস্থের ঘরের ভাঙা টিন লোহা কিনে মহাজনের কাছে বিক্রি করেন। সামান্য আয়ে সংসার চালানোই দায় তাই ছেলে সাবিরের চোখ অপারেশন করার খরচ যোগাড় করতে পারেননি। পড়শি যুবক সাহেব মল্লিক টুইট করেছিলেন ছেলেটির সাহায্যের জন্য। সেই টুইট দেখে দুর্গাপুরের আধুনিকা বারিক সাংসদ দেবকে ট্যাগ করে টুইট করেন। তাতেই সাড়া মেলে।
আজ ১৮ সেপ্টেম্বর চন্দ্রকোণা-১ ব্লকের কাসণ্ড গ্রামে গিয়ে কাসণ্ড হাইমাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র সাবির খানের চোখের চিকিৎসার জন্য সবরকম প্রতিশ্রুতি দিলেন সাংসদ প্রতিনিধি রামপদ মান্না। সাবিরের পরিবারকে রামবাবু বলেন, দাদার নির্দেশেই আমি আজ এখানে এসেছি। দাদা আগামী একসপ্তাহের মধ্যে কলকাতার নামী স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে সাবিরের চোখ অপারেশন করার ব্যবস্থা করে দেবেন বলে জানিয়েছেন। এই আশ্বাসের কথা শুনেই আনন্দে কেঁদে ফেলেন সাবিরের বাবা।
চন্দ্রকোণা থানা এলাকা কিন্তু ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে পড়ে না। চন্দ্রকোণাটি আরামবাগ লোকসভা কেন্দ্রের অধীন। মানে, ওই এলাকা থেকে দেব নির্বাচিত নন। তাই তিনি ওই কিশোরের চোখ অপারেশনের দায় সহজেই এড়িয়ে যেতে পারতেন। দেব মন থেকেই মানুষের সেবা করতে চান বলেই তিনি ট্যুইটের মেসেজ পড়েই এগিয়ে এসেছেন। আর এটাই প্রথম নয়। চন্দ্রকোণা-২ ব্লকের এই বৃদ্ধার দুরবস্থার কথা জানতে পেরে দেব এই বাড়িটি সম্প্রতি নির্মাণ করে দিয়েছেন। তাছাড়াও সংবাদমাধ্যমে দেবের এই ধরনের পাশে থাকার দৃষ্টান্ত প্রায়ই দেখা যায়। আর এথেকেই বোঝা যায় দেব রাজনীতিক নন, একজন প্রকৃত মানবদরদী।
ঘাটাল মহকুমার সমস্ত খবর পেতে আমাদের MyGhatal মোবাইল অ্যাপ ডাউনলোড করুন [লিঙ্ক 👆] এবং ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে রাখুন[লিঙ্ক 👆]।