বাবলু সাঁতরা: মৃত জওয়ানের দেহ এল চন্দ্রকোণায়। আজ ৩১ আগস্ট সকালে বিএসএফের গাড়িতে করে কেদারনাথ হাঁসদার(৪৫) দেহ চন্দ্রকোণাতে আসে। সেখান থেকে মৃতদেহ তাঁর বাড়ি তথা কেঁচকাপুরে নিয়ে যাওয়া হয়। [•এই খবর সম্পর্কিত ভিডিওটি দেখতে চাইলে ▶এখানে ক্লিক করতে পারেন।]
প্রসঙ্গত বিএসএফ এর ৯৪ নম্বর ব্যাটালিয়নের কর্মরত জওয়ান কেদারনাথ উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়া থানার দাসপাড়া গ্রামপঞ্চায়েতের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী কেসিগছ গ্রামে ২৮ আগস্ট তিনি ডিউটিতে ছিলেন। ওই দিন ভোরে এলাকার একটি চা বাগানের ভিতরে মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। পুলিশ ও বিএসএফের প্রাথমিক অনুমান নিজের স্বয়ংক্রিয় রাইফেল দিয়ে আত্মহত্যা করেছিলেন ওই বিএসএফ জওয়ান। বিএসএফ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। চোপড়া থানার পুলিশ মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালের পুলিশ মর্গে পাঠিয়েছিল। গতকাল সমস্ত অফিসিয়াল কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর আজ তাঁর মৃতদেহ বাড়িতে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়।
বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, কেঁচকাপুরের বাসিন্দা বিএসএফ জওয়ান কেদারনাথ হাঁসদা উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়া থানার দাসপাড়া গ্রামপঞ্চায়েতের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত বিএসএফের ৯৪ নম্বর ব্যাটালিয়নের কেসিগছ সীমান্তচৌকিতে কর্মরত ছিলেন। শুক্রবার রাতে সীমান্তে প্রহরায় ছিলেন তিনি। শনিবার ভোর ৪টে নাগাদ থেকে বিএসএফ জওয়ান কেদারনাথের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তাঁর লোকেশন পাওয়া যাচ্ছিল না। কিছুক্ষণ পরেই গুলির আওয়াজ পাওয়া যায়। এরপর সীমান্ত চৌকির ইনচার্জ দুজন জওয়ানকে কেদারনাথের খোঁজে পাঠানো হলে জওয়ানেরা সীমান্তের পাশে একটি চা বাগানের ভেতরে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেন জওয়ান কেদারনাথ হাঁসদাকে। তাঁর গলার উপরে থুতনির নীচে তিনটে গুলির চিহ্ন মিলেছে। মৃত বিএসএফ জওয়ান কেদারনাথ হাঁসদার পাশেই ওয়াকিটকি, টর্চ লাইট এবং তাঁর বুকের উপর স্বয়ংক্রিয় রাইফেল উদ্ধার করে বিএসএফ। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে যান বিএসএফের ঊর্ধ্বতন কর্তারা। খবর দেওয়া হয় চোপড়া থানার পুলিশকেও।
পুলিশ ও বিএসএফ কর্তাদের প্রাথমিক অনুমান নিজের স্বয়ংক্রিয় রাইফেল থেকে গুলি চালিয়ে আত্মহত্যা করেছেন মৃত বিএসএফ জওয়ান কেদারনাথ হাঁসদা। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বিএসএফ ও চোপড়া থানার পুলিশ। জেলার পুলিশ সুপার শচীন মক্কার জানিয়েছেন, চোপড়া থানায় একটি মামলা ঋজু করা হয়েছে। স্বয়ংক্রিয় রাইফেলটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর আসল ঘটনা জানা যাবে।
ঘাটাল মহকুমার সমস্ত খবর পেতে আমাদের MyGhatal মোবাইল অ্যাপ ডাউনলোড করুন [লিঙ্ক 👆] এবং ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে রাখুন[লিঙ্ক 👆]।