তৃপ্তি পাল কর্মকার: শেষ রক্ষা হল না, পানার চাপে ভেঙে গেল দাসপুর-২ ব্লকের বহু স্বপ্নের কন্যাশ্রী সেতু। আজ ২৩ আগস্ট দুপুরে সেতুর একাংশ পানার চাপে ভেঙে জলের স্রোতে চলে যায়। [•এই খবর সম্পর্কিত ভিডিওটি দেখতে চাইলে ▶এখানে ক্লিক করতে পারেন।]ওই ব্লকের চকসুলতান গ্রামের পলাশপাই খালের উপর ছিল ওই কন্যাশ্রী সেতুটি। ২২ আগস্ট সকাল থেকেই পলাশপাই খালে লাগাতার পানা স্তূপ আসার সাথে সাথে জলস্তর বৃদ্ধিও হয়। গত কাল ২২ আগস্ট সকাল থেকে পানা সরানোর চেষ্টা চললেও পরে নিরাপত্তার কারণে পরে তা বন্ধ করতে বাধ্য করা হয়। আজ দুপুরে সেটি ভেঙে যায়। সেতুটি ভেঙে যাওয়ার পর সেতুর দুদিক সিল করে দেওয়া হয়। দাসপুর-২ পঞ্চায়েত সমিতিরসহকারী সভাপতি আশিস হুদাইত ঘটনাস্থলে যান।
প্রসঙ্গত, পলাশপাই খালের এক দিকের চকসুলতান, রামপুর, গৌরা, শ্যামচক, শিমুলতলা অন্য দিকের জোতগোবিন্দ, সিংহচক, জোতভগবান, গোছাতি, শয়লা, চককিশোর-সহ বেশ কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দাদের বিগত কয়েক দশক ধরে এক দিক থেকে অন্যদিকে যাতায়াতের সমস্যা হচ্ছিল। খালের দুদিকের গ্রামের বাসিন্দাদের অন্য দিকে যেতে হলে ঘাটাল-পাঁশকুড়া সড়কের গৌরা দিয়ে অনেক ঘুর পথে যাতায়াত করতে হত। এলাকা বাসিন্দারা বলেন, যদিও বেসরকারি উদ্যোগে ওই খালটির ওপর কয়েকটি বাঁশের সাঁকো ছিল সেই সাঁকো দিয়ে কিন্তু সেই সাঁকো দিয়ে পারাপার হতে গেলে পাঁচ টাকা দিয়ে ভাড়া দিতে হত। দ্বিতীয়ত ভ্যান, ট্রলি বা চার চাকার কোনও গাড়ি নিয়ে যাতায়াত করা যেত না। সেজন্যই ২০১৮ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর ওই চকসুলতানের বটতলায় শালকাঠ দিয়ে ১৬০ফুট লম্বা এবং সাত ফুটের কিছুটা বেশি চওড়া ওই ব্রিজটি নির্মাণ করা ছিল। নাম দেওয়া হয়েছিল কন্যাশ্রী সেতু। নির্মাণ করতে খরচ পড়েছিল প্রায় সাড়ে ২১ লক্ষ টাকা। ব্রিজটি হওয়ার পর উভয় পাড়ের বহু গ্রামের সুবিধে হয়। কিন্তু ২০১৯ সালে ওই সেতুটি ভেঙে গিয়ে বিপত্তি হয়েছিল। দীর্ঘ কয়েক মাস পরে সারানো হয়। এবছর আবার ভেঙে যাওয়ার ফলে বেশ কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দাদের সমস্যার মুখে পড়তে হল।
ঘাটাল মহকুমার সমস্ত খবর পেতে আমাদের MyGhatal মোবাইল অ্যাপ ডাউনলোড করুন [লিঙ্ক 👆] এবং ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে রাখুন[লিঙ্ক 👆]।