নিজস্ব সংবাদদাতা:গভীর রাতে করোনা রোগীকে নিজেদের তৎপরতায় অ্যাম্বুলেন্সে তুলে হাসপাতালে পাঠিয়ে মানবিক রূপের পরিচয় দিলেন চন্দ্রকোণা-২ ব্লকের বিডিও এবং চন্দ্রকোণা থানার ওসি। রবিবার ১৬ আগস্ট রাতে এই ধরনের একটি ব্যতিক্রমী ঘটনা ঘটেছে চন্দ্রকোণা শহরের ৩ নম্বর ওয়ার্ড রঘুনাথপুরে। শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন ওই ওয়ার্ডের বাসিন্দা পেশায় গ্রামীণ এক চিকিৎসক। ১৪ তারিখ তিনি চন্দ্রকোণা গ্রামীণ হাসপাতালে লালারস পরীক্ষা করান। ১৬ তারিখে রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ পুলিশ মারফৎ খবর পান তিনি করোনা সংক্রমিত। তারপরেই তিনি ভেঙে পড়েন।শালবনী হাসপাতালে ভর্তি করার জন্য চন্দ্রকোণা গ্রামীণ হাসপাতাল থেকে সঙ্গে সঙ্গে অ্যাম্বুলেন্স পাঠানোর কথা থাকলেও তা আসতে দেরি দেখে আরও মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েন করোনা সংক্রমিত ওই গ্রামীণ চিকিৎক। এক সময় জ্ঞানও হারিয়ে ফেলেন।
সংক্রমিতের বাড়ির লোকেরা জানান, প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা পরে অ্যাম্বুলেন্স এলেও গাড়িতে কোনও স্বাস্থ্য কর্মী ছিলেন না। তাই আমরা কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে বিডিওকে খবর দিই। বিডিওকে ফোন করার কিছুক্ষণ পরেই দেখি বিডিও পিপিই কিট পরে সঙ্গে জয়েন্ট বিডিও এবং ওসিকে নিয়ে আমাদের বাড়ি আসেন। তাঁরাই নিজেরাই করোনা সংক্রমিত গ্রামীণ চিকিৎসককে অ্যাম্বুলেন্সে তুলে শালবনী পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। রাত্রি বারোটা নাগাদ চন্দ্রকোণা-২ এর বিডিও শাশ্বত প্রকাশ লাহিড়ী, জয়েন্ট বিডিও অমিত নন্দী এবং চন্দ্রকোণা থানার ওসি প্রশান্ত পাঠককে ওই ভাবে রোগীকে অ্যাম্বুলেন্সে তুলতে দেখে অভিভূত হয়ে পড়েন এলাকার বাসিন্দারা।সংক্রমিতের বাড়ির লোকেরা বলেন, আমরা বিডিও বা ওসিকে রোগীকে অ্যাম্বুলেন্সে তুলতে বলিনি। স্বাস্থ্য কর্মী ছিল না সে কথাটাই জানাতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তাঁরা এসে ওই ভাবে নিজেরাই রোগীকে তুলবেন ভাবতে পারিনি। আর আমরাও তুলতে পারতাম, কিন্তু আমাদের কাছে পিপিই কিট বা অন্য কিছু প্রোটেকশন ছিল না।
•এই খবর সম্পর্কিত ভিডিওটি দেখতে চাইলে ▶এখানে ক্লিক করতে পারেন।
ঘাটাল মহকুমার সমস্ত খবর পেতে আমাদের MyGhatal মোবাইল অ্যাপ ডাউনলোড করুন [লিঙ্ক 👆] এবং ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে রাখুন[লিঙ্ক 👆]।