তৃপ্তি পাল কর্মকার: আমাদের এই পোর্টালে পোস্ট করা দাসপুর থানার রামবাটি গ্রামের এক ব্যক্তির করোনা রিপোর্ট নিয়ে বিতর্ক উঠেছে। প্রশ্ন তোলা হয়েছে, মনগড়া রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। ওই গ্রামে দোলইদের কেউই করোনা সংক্রমিত হয়নি।
দোলইদের ওই যুবক সত্যিই করোনা সংক্রমিত হয়েছেন কিনা সেটা আমাদের পক্ষে বলা সম্ভব নয়। আমাদের কাছে সরকারি ভাবে যে রিপোর্ট আসে সেটা দেখেই আমরা প্রকাশ করে থাকি। সেই রিপোর্টে যদি কোনও ভুল থাকে সেটা আমাদের পক্ষে যাচাই করা সম্ভব নয়। আর যাচাই কোত্থেকেই করব? কারণ যাদের কাছে যাচাই করার কথা তারাই তো রিপোর্ট পাঠাচ্ছে। যে যুবকের করোনা রিপোর্ট নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে তাঁর রিপোর্টের একাংশ এই সংবাদের ছবি হিসেবে দেওয়া হল। মিলিয়ে নিতে পারেন। এটা দেখলেই আপনারাও সুনিশ্চিত হবেন আমরা কোনও ভুল তথ্য প্রকাশ করিনি। কিন্তু এই রিপোর্ট পাওয়ার পর আমাদেরকে ফোনে হুমকিও দেওয়া হচ্ছে।
জেনে রাখুন, আমরা যেখান থেকে প্রত্যেক দিন রিপোর্ট পাই পশ্চিম মেদিনীপুরের সমস্ত হাসপাতাল, সরকারি আধিকারিকরাও সেখান থেকেই পান। আরও পরিষ্কার করে বললে দাঁড়ায়, আমরা জেলা স্তরের এক পদস্থ আধিকারিকের সৌজন্যেই প্রতিদিন রিপোর্ট পাই। সেটা পাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই আপনাদের জানানোর চেষ্টা করি। ♦যেহেতু আমরা রিপোর্ট দেখে করি তাই আমরা আন্দাজে বা মনগড়া করে বিভিন্ন গ্রামের নাম পাবই বা কোত্থেকে?
রিপোর্ট যে বিভ্রান্তিকর আসে না তাও নয়। কয়েক দিন আগে সংক্রমিতদের নামের তালিকায় রাজনগর গ্রামপঞ্চায়েত এলাকার এক ব্যক্তির নাম ছিল। প্রকাশ করার পরই তাঁর পরিচিতরা আমাদেরকে ফোন করে প্রশ্ন করেন, করোনার ভুল খবর প্রকাশ করছি কেন? ঘটনার ব্যাখ্যা দিয়ে তাঁরা বলেন, যাঁর নাম সংক্রমিত বলে প্রকাশ করেছি অসুস্থতার কারণে তিনি ঘাটাল হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন এবং সেখানে তাঁর উপসর্গ দেখে লালা রস সংগৃহীত হয়েছিল ঠিকই, কিন্তু ঘাটাল মহকুমা হাসপাতাল তাঁর করোনা নেগেটিভ হাতে ধরিয়ে ছুটি দিয়ে দিয়েছে। আমরা তাঁদেরকেও একই উত্তর দিই, আমাদের কিছু করার নেই আমি সরকারি রিপোর্ট দেখে রিপোর্ট করেছি। পরের দিন সকালে তাঁরা আমাদেরকে ফের ফোন করে জানান, সেই ব্যক্তি করোনা সংক্রমিত। দাসপুর থানার পুলিশও তাঁদেরকে ফোন করে জানিয়েছে, তিনি করোনা সংক্রমিত বলে।
আমাদেরকে এই সরকারি রিপোর্টের ভিত্তিতেই সমস্ত খবর করতে হয়। আপনাদের কথা অনুযায়ী সেই সরকারি রিপোর্টেও যদি ভুল রয়ে যায় তাহলে আমার কী করার থাকতে পারে? কারণ করোনা রিপোর্টের তথ্য আমাদের পক্ষে ‘ক্রশ-চেক’ বা যাচাই করা সম্ভব নয়। এই ধরনের সমস্যা হলে তাহলে আমাকে রিপোর্ট প্রকাশ করা বন্ধ করে দিতে হবে।
Home এই মুহূর্তে বিশেষ প্রতিবেদন প্রসঙ্গ করোনা রিপোর্ট: দাসপুরের রামবাটির করোনা রিপোর্টে কোনও ভুল ছিল না