নিজস্ব সংবাদদাতা: ক্লাসের মধ্যে বহু সহপাঠী ‘বড় মোবাইল’ নিয়ে মোবাইল গেম খেলে। সেই খেলা দেখেই নিজেরও প্রচণ্ড শখ হয়েছিল মোবাইল গেম খেলার। কিন্তু বাড়ির সামর্থ্য নেই তাই ‘বড় ফোন’ কিনে দেওয়ার। তাই নিজেই রাতের অন্ধকারে মোবাইল দোকানের আটটি মোবাইল ফোন চুরি করে নিয়েছিল দাসপুর থানার রাজনগর ইউনিয়ন হাইস্কুলের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র রামকৃষ্ণ সাঁতরা। চুরি করা মোবাইল ফোন নিয়েই ‘স্বপ্নের মোবাইল গেম’ খেলে দিব্যি দিন কাটাচ্ছিল। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। মোবাইল চুরির পাঁচ মাস পরে দাসপুর থানার পুলিশের জালে ধরা পড়ল ওই ‘গুণধর’ ছাত্র। দাসপুর থানার ওসি সুদীপ ঘোষাল জানিয়েছেন, সোমবার ১০ আগস্ট রামকৃষ্ণকে নাড়াজোলের তার এক আত্মীয় বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে সমস্ত মোবাইলও উদ্ধার হয়েছে। ঘাটাল আদালত সূত্রে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার রামকৃষ্ণকে ঘাটাল আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
রামকৃষ্ণের বাড়ি ঘাটাল থানার কিসমত দেওয়ান চকে। সে নদী পেরিয়ে রাজনগর হাইস্কুলে আসত। সে জেরার মুখে পুলিশকে জানিয়েছে, স্কুলে এসে অনেক ছাত্রকেই অফ পিরিয়ডে বা টিফিনে একটি জনপ্রিয় মোবাইল গেম খেলতে দেখত। না খেলতে পেরে রামকৃষ্ণের মন খারাপ হত। রামকৃষ্ণের আত্মীয় বাড়ি রয়েছে নাড়াজোল গঞ্জে। সেখানে বেড়াতে গিয়ে নাড়াজোল বাজারের একটি মোবাইল দোকানে অনেক মোবাইল ফোন সাজানো অবস্থায় দেখে তার খুব লোভ হয়। মোবাইল গেম খেলার বাসনা আরও তীব্রতর হয়। গেম খেলার অদম্য ইচ্ছেকে বাস্তবায়িত করতে এক দিন রাতে সে একাই দোকানের তালা ভেঙে আটটি মোবাইল ফোন চুরি করে নেয়। তার মধ্য থেকে একটি মোবাইল ফোন নিয়ে সেও সেই গেম খেলতে শুরু করে। তবে বাকী ফোনগুলোর প্যাকেট পর্যন্ত সে খুলেনি। চুরির পরই দাসপুর থানার পুলিশ তদন্তের জাল ফেলে। শেষে মোবাইল সূত্র ধরে সোমবার ওই ছাত্রটিকে তার আত্মীয় বাড়ি নাড়াজোল থেকেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ বাকি ফোনগুলোও উদ্ধার করেছে। ওসি বলেন, ফোনগুলির মোট দাম হবে এক লক্ষ টাকার আসে পাশে। •ছবিটি প্রতীকী।
ঘাটাল মহকুমার সমস্ত খবর পেতে আমাদের MyGhatal মোবাইল অ্যাপ ডাউনলোড করুন [লিঙ্ক 👆] এবং ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে রাখুন[লিঙ্ক 👆]।