শুভম চক্রবর্তী:করোনার থাবা ক্রমশ নির্মম হওয়াতে সরকার সপ্তাহে দুদিন পূর্ণ লক ডাউনের ঘোষণা করে আর একইসাথে ঘাটাল মহকুমার স্থানীয় প্রশাসনের নির্দেশে ঘাটাল মহকুমা জুড়ে আগামী ৩১ তারিখ পর্যন্ত এলাকাভিত্তিক লকডাউন এর নির্দেশ জারি হয়। গতকাল অর্থাৎ শনিবার ২৫ জুলাই ছিল পূর্ণ লকডাউনের নির্ধারিত দিন। প্রশাসনের সক্রিয়তা জেরে মহকুমা জুড়ে পূর্ণ লকডাউন চূড়ান্তভাবে সফল হয় কিন্তু আজ রবিবার সকাল হতে না হতেই লকডাউনের চিত্রটা হঠাৎ করেই গেল পাল্টে।শনিবার প্রশাসনের কড়া নজরে নিজেদের গৃহবন্দি করে রাখার পরেরদিন সকালেই আহা কি আনন্দ আকাশে বাতাসে ভেবে নিয়ে ঘাটালবাসি ছড়িয়ে পড়লো ঘাটাল শহরের কোণায় কোণায়। শহরের বাজারগুলিতে সোশ্যাল ডিসটেন্স মানা তো দূরের কথা রীতিমতো ঠালাঠেলি করে বাজার করতে দেখা গেল জনতাকে। জনতার ভিড় থেকে বাদ গেল না শহরের শহরের অন্যান্য অংশগুলিও। ঘাটাল পৌরসভার যে অংশগুলি থেকে করোনা আক্রান্ত রোগীর খোঁজ মিলেছিল সেখানে স্বাস্থ্যকর্মী ও পৌরসভার স্যানিটারি বিভাগের কর্মীদের আনাগোনা দেখা গেলেও সাধারণ মানুষের যেন কোনোও রকম ভ্রুক্ষেপ নেই।ঘাটালের অন্যতম ব্যস্ততম স্থানগুলি যেমন ঘড়িমোড়,কেন্দ্রীয় বাস স্ট্যান্ড,ভাসাপোল পরের দিন সকাল থেকেই ফিরে পেল আবার আগের চেহারা। সকালে হাতে বাজারের ব্যাগ আর মুখে মাস্ক লাগিয়ে ঘাটালবাসি বেরিয়ে পড়লেও চোখে মুখে দেখা গেল না কোনরকম ভয় বা আতঙ্কের ছাপ।শহরের মাছ ও মাংসের দোকানের সামনে দেখা গেল চমকে যাবার মত ভিড়। করোনার ফাঁস যখন মহাকুমা জুড়ে ক্রমশ শক্ত হয়ে উঠছে তখনো ঘাটালজুড়ে যদি এমন চিত্র দেখা যায় তাহলে সেটা সত্যিই ভীষণ চিন্তার উদ্রেক ঘটায়।