শুভম চক্রবর্তী:‘১০ টায় অফিসে আসি দুটোয় টিফিন তিনটেয় যদি দেখি সিগন্যাল গ্রীন,কোন কথা না বাড়িয়ে ধীরে ধীরে পা বাড়িয়ে চারটেয় চলে আসি বাড়ি, আমি সরকারি কর্মচারী…’। গায়ক নচিকেতার বিখ্যাত ব্যঙ্গাত্মক গানের লাইনগুলো বোধহয় এনাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয়না।সরকারি দায়িত্ব পালনের সাথে সাথে সমাজের প্রতি কর্তব্য পালনেও এনারা এর আগেও এগিয়ে এসেছেন বহুবার, তেমনভাবেই সম্প্রতি করোনা পরিস্থিতিতে এরা আবার পাশে দাঁড়ালেন সমাজের নিম্নমধ্যবিত্ত স্তরের মানুষদের পাশে।।সপ্তাহের অন্যান্য দিনগুলিতে অফিসে কাজ করার সাথে সাথেই কাজের ফাঁকে সময় বের করে করনা পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তর এর কর্মীদের একাংশ আলো নামক সংগঠনের মাধ্যমে।
একটি পরিবারের সব ধরনের সদস্যদের কথা মাথায় রেখেই সংগঠনের সদস্যরা মুড়ি চানাচুর, সয়াবিন,সুজি এর সাথে পাশাপাশি বাচ্চাদের জন্য দুধ, বিস্কুট, কেক ইত্যাদিও সাহায্য স্বরূপ তুলে দেন নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণীর একাধিক মানুষের হাতে। মহিলারা লকডাউন পরিস্থিতিতে যাতে সমস্যায় না পড়েন তা মাথায় রেখেই স্যানিটারি ন্যাপকিনের মতো প্রয়োজনীয় জিনিস তুলে দেন মহিলাদের হাতে। একইসাথে সাধারণ মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য মেদিনীপুর হোমিওপ্যাথি মেডিকেল কলেজের মতো ভারত সরকারের আয়ুষ মন্ত্রকের গাইডলাইন মেনে চিকিৎসকের উপস্থিতে সকলের হাতেই তুলে দেন আর্সেনিক এলবাম ৩০।সংগঠনের জেলা যুগ্ম সম্পাদক তথা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সিএলআর কৌশিক সমন্ত বলেন এ সময় জেলার বিভিন্ন অংশে আমরা এ ধরনের সাহায্যের কর্মসূচি পালন করছি আজ দাসপুরে আমরা ১২০ নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষের হাতে ত্রাণ সামগ্রী তুলে দিতে পারলাম। ভবিষ্যতে সুযোগ পেলে আমরা আরো বেশি মানুষের কাছে পৌঁছে যাবার চেষ্টা করব।