শুভম চক্রবর্তী: লকডাউন এর জেরে দেশজুড়ে অন্যান্য সাধারণ পণ্যের দোকানগুলির মতো বন্ধ মদের দোকানও। আর এমন সিদ্ধান্তই বেজায় বিপাকে পড়েছিলেন দেশের আপামর সুরাসক্ত মানুষজন। যতদিন স্টক ছিল ততদিন চলেছে কোনরকমে কিন্তু যাদের সেটাও ছিল না তারা লুকিয়ে-চুরিয়ে এমনকি অতিরিক্ত দাম দিয়েও সংগ্রহ করেছে কিছুদিন। আর সেটা করতে গিয়ে বিপদ পদে পদে। বাইরে বের হলেই পুলিশের লাঠি, হাজতবাস তাছাড়া করোনার ভয় তো আছেই। অজ্ঞতার জেরে সম্প্রতি বেশকিছুজন হাত বাড়িয়েছেন হোমিওপ্যাথি ওষুধের দিকে এক ধাপ এগিয়ে কেউ কেউ ৭০% অ্যালকোহল আছে এমন হ্যান্ড স্যানিটাইজার পান করতে গিয়ে মারাত্মক বিপদের সম্মুখীনও হয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে এই খবর কারো অজানা নয়। তবে সম্প্রতি রাজ্য সরকার অনলাইনের মাধ্যমে মাথাপিছু নির্দিষ্ট পরিমাণ মদ কেনার অনুমতি দিলেও গ্রাম বাংলার নিয়মিত সুরাশক্ত কাছে তা বেশ জটিল পদ্ধতির এবং চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল।তাই আর কোন উপায় না দেখে শেষমেষ বাড়িতে বসেই কিভাবে মদের আমেজ উপভোগ করা যায় সেই চিন্তায় মগ্ন রাজ্যবাসী। অগত্যা দ্বারস্থ গুগলের কাছে।পরিস্থিতি এমন সম্প্রতি গুগোল ট্রেন্ডস প্রথমের দিকে উঠে এসেছে যে সমস্ত প্রশ্নগুলি তার মধ্যে অন্যতম ছিল, ‘কিভাবে বাড়িতে মদ তৈরি করব?’ (How to make wine at home) অবাক করা বিষয় হল বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলো থেকে এই ট্রেন দিলেও ভারত থেকে এই প্রশ্নের ট্রেন্ড এক্কেবারে প্রথমের দিকে এবং ভারতের মধ্যে যে রাজ্যগুলি সবচেয়ে বেশি গুগলের কাছে এই প্রশ্ন করেছে পশ্চিমবঙ্গ আছে ১১ নম্বর স্থানে। গরমের সময় বাজারে আঙ্গুর সহজলভ্য আর লন্ডনের সময় ফলের দোকানের ছাড়পত্র আছে আঙ্গুর কোন সমস্যা নেই।সম্ভবত সেই কারণেই গুগোল ট্রেন্ডের একেবারে উপরে আছে আঙ্গুরের রস দিয়ে মদ তৈরি পদ্ধতির খোঁজ।নাম প্রকাশ করা যাবে না এমন শর্তে মদদোকানের নিয়মিত খদ্দের খড়ারের এক বাসিন্দা বলেন লকডাউন চলছে তাই এলাকার সমস্ত মদদোকান বন্ধ। দীর্ঘদিনের অভ্যাস এত সহজে ছাড়াও যায় না।সরকার বসে অনলাইনে ডেলিভারির ব্যবস্থা করেছে কিন্তু সে বিস্তর হ্যাপা আর টাকাও লাগছে অনেক বেশি। বাড়িতে কি করে বানানো যায় সেটা শিখতে পারলে বেশ হতো।
Home এই মুহূর্তে বিশেষ প্রতিবেদন ‘বাড়িতে বসে কিভাবে বানাবো মদ’, ভারতীয়দের প্রশ্নের ঠেলায় নাজেহাল গুগোল