দেশ ও রাজ্যজুড়ে লকডাউন,তারই মাঝে বাড়ির জানালা দিয়ে দৃশ্যমান বিষধর কয়েকফুট লম্বা চন্দ্রবোড়া। সাপ মানেই আতঙ্ক। কিংকর্তব্যবিমুঢ় গৃহকর্তা। এদিকে বনদপ্তর জানিয়ে দিয়েছে আপদকালীন পরিস্থিতি ছাড়া এবং সরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান বা অন্যকোনো সরকারি দপ্তর ছাড়া তাঁরা সাপ উদ্ধারে বেরোবেন না। চরম বিপাকে গৃহকর্তা,যদি রাতে ভিতে বাড়ির মধ্যে আসে ওই সাপ?
ঘটনা দাসপুর ২ ব্লকের পলাশপাই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার জয়রামচক দক্ষিণ পাড়ার দোলই পরিবারের। স্থানীয় বাসিন্দা রাজু দোলই জানিয়েছেন, আজ ২৫ মার্চ সকালে পঞ্চানন দোলইয়ের বাড়ির একাবারে সম্মুখেই এক বিশালাকার বিষধর চন্দ্রবোড়া পিঁড়ি পাকিয়ে বসে থাকতে দেখে পরিবারের মিধ্যে ভিতির সঞ্চয় ঘটে। পঞ্চানন বাবু সাপটিকে না মেরে বনদপ্তরের হাতে তুলে দিতে চান। সুলতানগর বীট অফিস সূত্রে জানা গেছে, দেশজুড়ে লক ডাউন চলার জেরে অতি আপদকালীন পরিস্থিতি ছাড়া বনদপ্তরের কর্মীরা বাইরে বেরোবেন না। শুধুমাত্র সরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে সাপ দেখা দিলে তাঁদের কর্মীরা যাবেন,কারণ বর্তমান পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানগুলি বিপদমুক্ত রাখা সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ।
বনদপ্তরের তরফে বাড়ির আশপাশের এলাকা পরিচ্ছন্ন রাখতে বলা হচ্ছে। বাড়ির চারপাশে কেরোসিন তেল ছড়ালেও সাপের আসা আটকানো যাবে। বাড়িতে সাপ ঢুকে গেলে তাকে সাবধানে বাড়ি থেকে বেরোনোর পথ করে দেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।
অগত্যা পঞ্চাননবাবুও সেই সাপকে বাড়ির সামনে থেকে তাড়িয়ে দিয়েছেন। বাড়ির অন্যান্য সদস্যরামিলে বাড়ির সামনে,পিছনে যে ঝোপজঙ্গল ছিল সেসব পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে দিয়েছেন।