মনসারাম কর: করোনা সংক্রমনের ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির কথা ভেবে স্বাস্থ্য দপ্তর সরকারিভাবে জমায়েতকে এড়িয়ে চলার বার্তা দিচ্ছে। সতর্ক থাকতে নানান পরামর্শ ও পদক্ষেপ গ্রহন করেছে সরকার। স্কুল, কলেজ, পার্ক, সিনেমাহল থেকে শুরু করে বিভিন্ন জমায়েতের জায়গা বন্ধ রাখা হয়েছে। এই মারাত্মক পরিস্থিতির উপর দাঁড়িয়ে আজ ২০ মার্চ রীতিমত জমায়েত করে চাঁইপাট বেলডাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে চন্দ্রেশ্বর খাল কাটার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করলেন দাসপুরের বিধায়ক মমতা ভূঁইঞ্যা। দাসপুর -২ পঞ্চায়েত সমিতির উদ্যোগে আজকের এই অনুষ্ঠানে একটা বড় অঙ্কের জমায়েত লক্ষ্য করা গেছে। আর তাতেই সমালোচনার ঝড় উঠেছে নানান দিক থেকে। প্রশ্ন উঠেছে এই পরিস্থিতিতে এটা করা কি খুব জরুরি ছিল? খোদ বিধায়ক যদি সতর্কবাণী না মানের তাহলে সাধারণ মানুষ কিভাবে মানবে? করোনার মত মহামারী রুখতে সরকারি নির্দেশ ও পরামর্শ মেনে চলা সকল নাগরিকের একটা নৈতিক দায়িত্ব। প্রসঙ্গত, করোনা রুখতে জনপ্রতিনিধিদেরও নানান দায়িত্ব রয়েছে। এই নিয়ে বিধায়ককে ফোন করা হলে তিনি বলেন, অনুষ্ঠানটা এত বড় করে হবে সেটা আমার আগে থেকে জানা ছিল না, এর জন্য আমি দুঃখিত। পঞ্চায়েত সমিতি থকে এই উদ্বোধনের যাবতীয় ব্যবস্থা করা হয়েছিল। আমি কিছুক্ষণের জন্য গিয়েছিলাম, একটা নারকেল ভেঙে উদ্বোধন করেই ফিরে গিয়েছি।