অপরাধ পাড়ার কাকার সাথে পরকীয়া,আর তার জেরেই প্রাণে মেরে ফেলা হল আদিবাসী মহিলাকে। এমনই অভিযোগ উঠেছে জেলার কেশপুর থানার জোড়াকেঁউদি গ্রামপঞ্চায়েত এলাকার উপরঘুচিশোল গ্রামের কয়েকজন যুবকের বিরুদ্ধে। মৃতার নাম মালতি মুর্মু।
অভিযোগ বছর ৫২ এর মালতির সাথে প্রনয়ের সম্পর্ক ছিল পাড়ার কাকা বছর ৬৫ এর সনাতন হাঁসদার। একাধিকবার তাদেরকে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখে সাবধান করে পাড়ার মোড়ল দাদারা। এমনকি মাস পাঁচেক আগে তাদের জন্য গ্রামে সালিশি সভাও বসে। জরিমানা করা হয় উভয়েরই।মেলামেশা বন্ধ হয়নি দুই প্রবীণের। প্রায়শই তারা হেড়িয়ার নেশায় বুঁদ হয়ে গভীর প্রণয়ে লিপ্ত হওয়ার খবর মিলেছে পাড়ার দাদাদের কাছে। তক্কে তক্কে থাকে তারা।
৫ মার্চ বৃহস্পতিবার মালতি মুর্মুর দাওয়ায় বসেই মদ্যপা করছিলেন সনাতন। দুজনকে একসাথে দেখা মাত্র চড়াও হয় গ্রামের যুবকরা। নৃশংসভাবে মারধর চলে। সূত্রের খবর ওইদিন ঘটনাস্থিলেই প্রাণ হারান মালতি। গুরুতর জখম সঙ্গী সনাতনকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে।
মর্মান্তিক এই ঘটনায় দুই পরিবারের তরফেই পুলিসে অভিযোগ দায়ের হয়। অভিযোগের তীর গ্রামের যুবকদের দিকেই। তদন্তে নামে পুলিস।শুক্রবার সকাল থেকেই অভিযুক্তদের খোঁজে কেশপুরের উপরঘুচিশোল গ্রামে লাগাতার তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিস।