নিজস্ব সংবাদদাতা: পুরসভা ভোটের আগেই বিজেপির ঘাটাল লোকসভা সাংগঠিক জেলা সভাপতি অন্তরা ভট্টাচার্যকে সভাপতির পদ থেকে অপসারণ করার জন্য দলীয় কর্মীরা উঠেপড়ে লেগেছেন। অন্তরা ভট্টাচার্যকে সভাপতির পদ থেকে অবিলম্বে না সরালে ঘাটাল, ক্ষীরপাই, খড়ার, চন্দ্রকোণা এবং রামজীবনপুর পুরসভা এলাকার বেশ কিছু বিজেপি নেতা এবার পুরভোটে অংশ করবেন না বলে সরাসরি জানিয়ে দিয়েছেন। কী ভাবে জেলা সভাপতি অন্তরা ভট্টাচার্যকে সরানো হবে তার কৌশল নিয়ে ২১ ফেব্রুয়ারি ঘাটালের পুরানোর এলআইসি বিল্ডিংএ একটি গোপন মিটিংও হয়। সেখানে জেলা কমিটির বিভিন্ন স্তরের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। দলের জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রামকুমার দে বলেন, সভাপতিকে সরানোর জন্য আমাদের দলের কিছু নেতা অভিমান বা সাময়িক ক্ষোভে মিটিং করছেন বলে আমার কাছে খবর আছে। তবে এটা কোনও সমস্যা নয়। এটা আমরা নিজেরা বসে ঠিক করে নেব। কারণ বিজেপি দল যাঁরা করেন তাঁরা প্রতীক দেখে করেন। কোনও দাদা বা দিদিকে দেখে কেউ দল করেননি।
দলের নেতাদের মূল দাবি, অবিলম্বে অন্তরাদেবীকে সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে অন্য কাউকে দিতে হবে। কারণ হিসেবে তাঁরা বলেন, অন্তরাদেবী দলের কর্মী ও নেতাদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করেননি। সমস্ত কর্মসূচিতে পাওয়া যায়নি। তিনি মোটেই সুবক্তাও নন। তাঁর কথা শুনে যে কিছু মানুষ বিজেপিতে এসেছেন বা আসবেন, এমনটাও কখনও হয়নি এবং হবেও না। অন্যদিকে কিছু দিন আগে পর্যন্ত অন্তরাদেবী সিপিএম করতেন এবং সিপিএম থেকে জিতে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি ছিলেন। অন্তরা ভট্টাচার্য বিরোধী শিবিরের নেতারা বলেন, তাই অন্তরা ভট্টাচার্যের সিপিএমের প্রতি দুর্বলতা এখনও কাটেনি। বিজেপির পুরানো কর্মীদের পাত্তা না দিয়ে সিপিএম থেকে আগত সুযোগ সন্ধানীদের দলে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন। ওই দিন ঘাটালের গোপন মিটিংএ ঠিক হয়, অন্তরাদেবীকে সরানোর বিষয়টি আরও এক বার রাজ্যস্তরে জানানো হবে। সেখানে তাঁদের দাবি মেনে না নেওয়া হলে ঘাটাল লোকসভা মধ্যে থাকা সাতটি বিধানসভা এলাকার দলীয় কর্মীরা গাড়িতে করে গিয়ে কলকাতা দলীয় কার্যালয়ে বিক্ষোভ দেখাবেন। আর পুরভোটের আগে সভাপতি বদল না করলে বিজেপির কর্মী ও নেতাদের একাংশ নির্বাচনে কোনও ভাবে অংশগ্রহণ করবেন না এবং দলকে সহযোগিতাও করবেন না বলে জানিয়েছেন।