দেবাশিস কর্মকার: একই দিনে পর পর দুটি চুরি হল দাসপুরে। দাসপুর থানার খেপুত গ্রামের এক মন্দির থেকে চুরি হল। ওই গ্রামের নাগ পরিবারের নারায়ণ মন্দিরটি ওই এলাকায় বিশেষ পরিচিত। আর সেই মন্দিরটিই দুষ্কৃতীদের কবলে পড়ল। ২৩ অক্টবর তথা বুধবার দুপুরে মন্দিরটি থেকে মন্দিরের মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। ঘটনা জানা জানি হতেই ওই চুরিকে ঘিরে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। ওই মন্দির কমিটির সম্পাদক মায়া নাগ বলেন, মন্দিরের গেট বরাবরই দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত খোলা থাকে। আর সেটাই কাল হল। ওই দিন দুপুরে দুষ্কৃতীরা মন্দির থেকে রূপোর আসন, রূপোর সিংহাসন ও রূপোর পৈতা নিয়ে চলে যায়। বিষয়টি বিকেলে জানার পরই পুলিসকে জানানো হয়েছে।
অন্যদিকে, দরজার তালা ভেঙে সোনামুই গ্রামের এক পরিবার থেকে চুরি হল। ২৩ অক্টবর বুধবার সন্ধ্যায় ওই পরিবার থেকে প্রায় দেড় লক্ষাধিক টাকার সম্পদ নিয়ে চম্পট দিল দুষ্কৃতীরা। ওই পরিবার প্রধানের নাম রাসবিহারী মাইতি। বুধবার রাতেই ঘটনাটি দাসপুর থানার পুলিসকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। দাসপুর থানার পুলিস জানিয়েছে, তারা অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করেছে। ওই পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, রাসবিহারীবাবুর সোনামুই হাটে একটি চায়ের দোকান রয়েছে। তাঁর তিন ছেলে সোনার কাজে বাইরে থাকেন। রাসবিহারীবাবু অন্যান্য দিনের মতো ওই দিন বাড়িতে চাবি দিয়ে স্ত্রী বিজলী মাইতিকে নিয়ে চায়ের দোকানে বিক্রিবাটা করতে চলে আসেন। রাসবিহারীবাবু বলেন, রাত সাড়ে ৮টার সময় বাড়িতে গিয়ে দেখি বাড়ির দরজার গেটের চাবি ভাঙা। রুমের ভেতরের আলমারিগুলি ভেঙে লণ্ডভণ্ড করা হয়েছে। একটি আলমারিতে চার ভরি সোনার গয়না এবং নগদ ২৫ হাজার টাকা ছিল দুষ্কৃতীরা সেগুলি নিয়ে পালিয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গেই বিষয়টি পুলিসকে জানানো হয়েছে। • নাগ পরিবারের মন্দিরের ছবিটি পাঠিয়েছেন সৌমি নাগ দত্ত।