৩৪ বছরের গেরোকেটে শেষ ৮ বছরেও ভোল পাল্টায়নি রাস্তার। এই বর্ষায় এক হাঁটু কাদায় মেয়ের হাত ধরে দাঁড়িয়ে কন্যাদায়গ্রস্ত পিতা। কথাগুলো ভিত্তিহীন মনে হলেও দাসপুর ১ নম্বর ব্লকের রাজনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের রাজনগর পশ্চিমের ঢাল থেকে হাইতপাড়া পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার রাস্তার বেহাল দশার কারণে ভেঙেছে ছেলে মেয়ের সম্বন্ধ,হয়নি উচ্চশিক্ষা,সময়ে পৌঁছায়নি ত্রাণ, প্রসব বেদনা পেয়ে রাস্তার মধ্যেই জন্মেছে শিশু।
এক রাশ অভিমান বুকে যমুনা সামন্ত জানালেন,রাস্তা খারাপের জন্যই গৌরায় নিজের বাপের বাড়িতেও যাওয়া হয়নি। মেয়েদের বিয়েদিতে হিমসিম খেতে হয়েছে। এই একই কারণে এখনও আইবুড়ো তাঁর শিক্ষিত দেয়র।
শুধু দাসপুর নয় রাজনগর পশ্চিমের এই রাস্তার মাধ্যমেই যোগাযোগ রক্ষাহয় ঘাটালের শিমুলিয়া,চৌকা,দেওয়ানচকের মতো একাধিক গ্রামের। প্রত্যেক বর্ষায় মাস ফুরোলেও রাস্তার হাল ফেরেনা। স্থানীয় রাজননগর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান অরুন দোলই অবশ্য এই রাস্তার বেহাল দশার জন্য দায়ী করছেন ওই এলাকার ভৌগলিক অবস্থানকেই। নিম্ন গতিতে শিলাবতী নদীর এঁকেবেঁকে প্রবাহের ফলে পোক্ত করা যায়নি নদী বাঁধ। রাস্তার হাল ফেরাতে তিনি প্রধান মন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার দপ্তরে আবেদন জানিয়েছেন।