রবীন্দ্রনাথ,গান্ধীজি, ক্ষুদিরাম,কিশোর কুমারের পর এবার ইচ্ছা নরেন্দ্র মোদী এবং মমতা বন্দোপাধ্যায়ের ছবি ছোট্ট ভুট্টাদানার মধ্যে ফুটিয়ে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে নাম তোলা।
দাসপুর থানার নাড়াজোলের বাসিন্দা বছর ৩৫-এর বিমান আদক পেশা ও নেশায় চিত্র শিল্পী। কিন্তু সেভাবে কোনও নাম করা আর্ট কলেজের ডিগ্রি নেই পকেটে। ছোট থেকেই ছবি আঁকায় ঝোঁক থাকলেও ছবি নিয়ে স্বপ্ন দেখে বাড়ির ছেলে নিজের পায়ে দাঁড়াবে এমন সাহসী পদক্ষেপ পরিবারের বড়োরা নিতে পারেননি। পাঁশকুড়া বনমালী কলেজ থেকে বি.পি.এড করেও মন ছবির দিকে। তারই মাঝে আনন্দপুরের এক গৃহ শিক্ষকের কাছে আঁকার তালিম। সব ভুলে শেষে সেই শিল্প সৃষ্টির আনন্দেই মজলেন শিল্পী। তার কর্ম ক্ষেত্রে যেন এক টুকরো স্বর্গ নেমে এসেছে। বাড়ির দরজা দিয়ে ভেতরে গিয়েই বাইরের ইঁট কাঠ পাথরের জগত এক নিমেষে ভুলে যেন প্রকৃতির কোলে আমরা। বাড়ির আনাচকানাচ বেয়ে লতাপাতা,রঙবেরঙের বাহারি গাছ গাছালির সাথে তাল মিলিয়ে পাখিদের কিচিরমিচির। বার্জিগার,কক্টেল পায়রা সাথে আবার নানা ধরনের মাছ।
কবিগুরুর ভক্ত বিমানবাবু ২২শ্রাবণ কবির প্রয়াণদিবসে কবিকে শ্রদ্ধা জানাতে ক্ষুদ্র ভুট্টাদানার উপর মাত্র ১৫ মিনিটে ফুটিয়ে তুলেছেন রবীন্দ্রনাথের ছবি। বিমান বাবু বলেন পাখির খাবারের সাথে চকচকে ভুট্টাদানা পেয়ে ছুঁড়ে না ফেলে তাতে কিছু করা ইচ্ছায় মনে আসে আমার প্রাণের কবির কথা। আমি সেভাবে মাইক্রো আর্ট শিখিনি, নেই কোনও যন্ত্রপাতিও। নিজের তুলিতেই আতসকাঁচ লাগিয়ে এঁকে ফেললাম রবীন্দ্রনাথ। পরে গান্ধীজি, ক্ষুদিরাম সাথে আমার প্রিয় কণ্ঠ শিল্পী কিশোকুমারেরও ছবি এঁকেছি।
আমাদের দেশ ও রাজ্যে দুই জনদরদি নেতা নেত্রী নরেন্দ্র মোদী ও মমতা বন্দোপাধ্যায় বহু জনকল্যানমূলক কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন। এই ভুট্টা দানায় তাঁদের ছবি এঁকে তাঁদের শ্রদ্ধা জানাতে চাই।এখন আমি সে দিকেই এগোচ্ছি।আমার ইচ্ছে আমি আমার এই সৃষ্টি ইন্ডিয়া বুক অফ রিকর্ডে নথিভুক্ত করি। ছেলেমেয়েদের আঁকা শিখিয়েই যেটুকু আয় তাতেই দিব্যি আছেন বিমানবাবু। মান আছে সম্মান আছে, আছে তাঁর প্রিয় রঙ তুলিটা।