•সরকারি কর্মীর কলমের খোঁচায় ‘মারা’ গিয়েছিলেন এই বৃদ্ধা। ফলে তাঁর বার্ধক্য ভাতাও বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। বার্ধক্য ভাতা না পেয়ে চন্দ্রকোণা বিডিও অফিসে গিয়ে নিজের ‘মৃত্যুর খবর’ পেয়ে চোখ কপালে উঠল চন্দ্রকোণা-২ ব্লকের ভগবন্তপুর-২ গ্রামপঞ্চায়েতের খড়শির বাসিন্দা ৮৬ বছরের গৌরী পালের।
ভগবন্তপুর-২ গ্রামপঞ্চায়েতের বাসিন্দা ওই বৃদ্ধার পাঁচ ছেলে। অভিযোগ, বেশির ভাগ ছেলেই তাঁকে দেখভাল করেন না। তাই কিছুটা গ্রামের বাইরে অন্যান্য পরিজনের কাছে বাকীটা ছোট ছেলে স্বপন পালের কাছেই থাকেন। বৃদ্ধা বলেন, আমি বেশ কয়েক বছর ধরেই বার্ধক্য ভাতা পেয়ে আসছিলাম। হঠাৎ প্রায় আট মাস কোনও ভাতা পাইনি। বার বার গ্রামপঞ্চায়েতে গিয়েও খোঁজ নিই। কাজ হয়নি। ১৭ ডিসেম্বর চন্দ্রকোণা-২ বিডিও অফিসে গিয়ে জানলাম আমি নাকি মারা গিয়েছি। তাই আমাকে বার্ধক্য ভাতা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ভগবন্তপুর গ্রামপঞ্চায়েতের এক কর্মীর দায়িত্ব ছিল ওই গ্রামের বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের লাইফ সার্টিফিকেট তৈরি করে জমা দেওয়ার। তিনিই ওই দুঃস্থ বৃদ্ধার বাড়িতে তাঁকে(গৌরীদেবীকে) দেখতে না পেয়ে সরকারি খাতায় ‘মৃত’ বলে লিপিবদ্ধ করে দেন। সেজন্যই তাঁর বার্ধক্য ভাতা বন্ধ হয়ে যায়।
বিডিও শাশ্বতপ্রকাশ লাহিড়ি বলেন, ঘটনাটি শুনে আমারও খারাপ লাগছে। ওই বৃদ্ধার ফের বার্ধক্য ভাতা চালু করে দেওয়ার জন্য আমরা তৎপরতার সঙ্গে ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।
এদিকে গ্রামপঞ্চায়েতের যে কর্মীর কলমের খোঁচায় বৃদ্ধা ‘মারা’ গিয়েছিলেন তাঁকে শোকজ করা হয়েছে। যতদিন না গৌরীদেবী বার্ধক্য ভাতা পাচ্ছেন ততদিন বিডিও তাঁকে মাসে ১২ কেজি করে চাল দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।