তৃপ্তি পাল কর্মকার: প্রধান শিক্ষকের কাছে নিজের এবং বান্ধবীর বিয়ে বন্ধ করার কাতর আবেদন নিয়ে স্কুলে ছুলে গেল এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। ছাত্রীর ওই আবেদনের ভিত্তিতে স্কুল, পুলিস, চাইল্ডলাইন, বিধায়ক এবং পঞ্চায়েত সমিতির উদ্যোগে বিয়ে বন্ধ হতে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলে পায়েল রায় ও বিউটি সিংহরায়েরা। ১ মার্চ এমনই ঘটনাটি ঘটে ঘাটাল থানার রথীপুর বরদা বাণীপীঠ হাইস্কুলে।
ওই স্কুলের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী পায়েল রায়ের বাড়ি ঘাটাল থানার রঘুনাথপুর। সে মামাবাড়ি অজবনগরে থাকে। এদিন তার পাকা দেখা ছিল। পায়েলের বান্ধবী বিউটি ওই স্কুলের নবম শ্রেণীতে পড়ে। ১মার্চ তার বিয়ে ছিল। দু্জনেই বাড়িতে এই বয়সে বিয়ে না দেওয়ার কথা বলেও কোনও সুফল পায়নি। তাই দুবান্ধবী মিলে যুক্তি করে বিয়ে বন্ধের জন্য প্রধান শিক্ষকের শরণাপন্ন হওয়ার কথা ভাবে। আজ যেহেতু বিউটির বিয়ে তাই সে বাড়ি থেকে বেরোতে পারেনি। পায়েল লুকিয়ে স্কুলে আসে এবং প্রধান শিক্ষককে জানায়, এই বয়সে কোনও ভাবেই বিয়ে করবে না।
প্রধান শিক্ষক অলোককুমার ভট্টাচার্য সঙ্গে সঙ্গে বিধায়ক শংকর দোলই, পঞ্চায়েত সমিতির সহকারি সভাপতি দিলীপ মাজিকে খবর দেন। খবর পায় পুলিশ ও চাইল্ড লাইন। শংকরবাবু, দিলীপবাবু, ঘাটাল থানার ওসি দেবাংশু ভৌমিক সঙ্গে সঙ্গে প্রথমে স্কুলে পরে ওই দুই কিশোরীর বাড়ি গিয়ে কাউন্সেলিং করে বিয়ে বাতিল করার ব্যবস্থা করেন।