মোবাইল কলে মোবাইল জেতার ফোন পেয়ে প্রতারণার শিকার দাসপুরের যুবক। দাসপুর পুলিস সাবধান করলেও ওই ভূয়ো সংস্থার ফোনে বারে বারে হেনস্থা, হুমকি। অবশেষে মানসিক নির্যাতন অশান্তিতে সংস্থার পাঠানো পার্সেল নিতে বাধ্য হল ওই যুবক।
প্রতারিত সেই যুবকের নাম পূর্ণেন্দু জানা, দাসপুর থানার জগন্নাথপুর লাগোয়া খাসচক গ্রামে বাড়ি। পাঁশকুড়া বনমালী কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র সে। সে জানায়,সপ্তাহ দু’য়েক আগে হঠাৎ তাকে ফোনে বলা হয় সে একটি নামীদামি সংস্থার মোবাইল জিতেছে। কারণ জানতে চাওয়া হলে অকাট্য যুক্তি শোনানো হয়। রাজি হয়ে পূর্ণেন্দু তার ঠিকানা ওই সংস্থার হোয়াটসাপে পাঠিয়ে দিলে ১৫ জুলাই সোমবার তার সেই পুরস্কার আসে। বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দেখিয়ে ওই ছাত্র দাসপুর পুলিসে গিয়ে বিষয়টি জানায়। পুলিসের তরফে পূর্ণেন্দুকে বলা হয় ওই পার্সেল ফিরিয়ে দিতে।
সেই মত পূর্ণেন্দুও খুকুড়দহ পোস্ট অফিসে জানিয়ে দেয়। কিন্তু তার কিচ্ছুক্ষণের মধ্যেই পূর্ণেন্দুর কাছে ফোনের পর ফোন আসে। তাকে নানা ভাবে মানসিক নির্যাতন করা হলে ওই ছাত্র জানায় ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে সে সেই পার্সেল ৪হাজার ৯৯৯ টাকা দিয়ে গ্রহণ করে। এবং পার্সেল খুলে যথারীতি প্রতারণার শিকার হয় সে। তার মধ্যে কাঠের টুকরো, খালি বাক্স,জুতো ছাড়া আর কিছুই ছিলনা। ওই ছাত্র আবার পুলিসের দ্বারস্থ হচ্ছে। ইতি মধ্যেই সে সমস্ত বিষয়টি ক্রাইম ব্রাঞ্চে জানিয়েছে।
শুধু পূর্ণেন্দু নয়,আকচার এমন প্রতারণার ঘটনা ঘটেই চলেছে। কিন্তু প্রতারকরা কোনো এক অজ্ঞাত কারণে পুলিসের চোখে বারে বারে ধূলো দিতে সমর্থ হচ্ছে।