•চন্দ্রকোণা শহরে পথ অবরোধ। চন্দ্রকোণা থানা এলাকায় পর্যায়ক্রমে চুরি ও ডাকাতির ঘটনা বেড়ে চলেছে। ফলে স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীরা নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন। তাই পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে চন্দ্রকোণা শহরে পথ অবরোধ করলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। আজ ১ ফেব্রুয়ারি সকালে চন্দ্রকোণা শহরের গোঁসাইবাজারে দীর্ঘক্ষণ পথ অবরোধ চলায় দুর্ভোগে পড়েন বহু মানুষ। প্রায় দেড় ঘন্টা অবরোধ চলার পর পুলিশ লাঠিচার্জ করে অবরোধকারীদের হটিয়ে দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কয়েক মাস ধরে চন্দ্রকোণা শহর সহ সারা থানা এলাকায় পর্যায়ক্রমে চুরি ও ডাকাতির ঘটনা বেড়ে চলেছে। ৩১ জানুয়ারি রাতে গোঁসাইবাজারে একটি সোনার দোকানের তালা কেটে কয়েক লক্ষ টাকার গয়না চুরি হয়। পুলিশের নিয়মিত টহল থাকলে এই ভাবে চুরি হত না। তাই ক্ষোভে তাঁরা অবরোধের সিদ্ধান্ত নেন।
৮ জানুয়ারি রাতে চন্দ্রকোণা শহরের পুরুষোত্তমপুরে একটি সোনার দোকানের তালা কেটে সোনার দোকান থেকে কয়েক কেজি রূপা এবং প্রায় ১০০ গ্রাম সোনা নিয়ে দুষ্কৃতীরা চলে যায়। চুরির আগে দুষ্কৃতীরা এলাকার সমস্ত পথবাতি বন্ধ করে দিয়েছিল। তারই পরে ১২ জানুয়ারি রাতে চন্দ্রকোণা শহর থেকে কিছুটা দূরে পানিছড়া গ্রামে রাজীব রায়ের বাড়িতে সন্ধ্যার পরই একটি ডাকাতের দল প্রবেশ করে ওই পরিবারের এক মাধ্যমিক ছাত্রের কপালে বন্দুক ঠেকিয়ে ডাকাতি করে। তাছাড়াও ২১ জানুয়ারি রাতে ওই থানার হৈমন্ত হাইস্কুলের কম্পিউটার ল্যাবোরেটরি থেকে ৪ লক্ষ টাকার কম্পিউটার চুরি হয়। চন্দ্রকোণার শহর লাগোয়া ধরমপুর থেকেও সম্প্রতি চুরি হয়েছে। সেজন্যই পুলিশের ওপর সাধারণ মানুষ ক্ষুব্ধ বলে জানা গিয়েছে। এদিন অবরোধের আগেই ঘটনাস্থলে পুলিশ তদন্তে গেলে পুলিশকে ঘিরে স্থানীয়রা বিক্ষোভ দেখান। পেছন থেকে পুলিশের উদ্দেশ্যে ঢিলও ছোঁড়া হয়।