ঘাটাল থানার মোহনপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ধরমপুর গ্রামে আগুনে ভস্মীভূত হয়ে সর্ব শান্ত হল একটি পরিবার।
আজ ২১ ফেব্রুয়ারি বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ আগুনে পুড়ে যায় মোহনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ধরমপুর গ্রামের গগম দোলইয়ের খড়ের চালের বাড়ি। বাড়ির মালিক মোহন বাবু জানান,বাড়িতে জমি বিক্রির লক্ষাধিক নগদ টাকা ছিল। এই আগুনে সেটাকার বেশিরভাগটাই পুড়ে গেছে। পুড়েছে বাড়ির যাবতীয় আসবাব,বাসন,জামাকাপড় সব। দোলই পরিবার সূত্রে জানাগেছে বাড়ির গ্যাসের সিলিন্ডার থেকেই আগুন লেগে ভস্মীভূত হয়েছে তাদের বাড়ি।
সারাদিন খাটাখাটনির পর বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ একটু চায়ের আর্জি জানান গগনবাবু। তড়িঘড়ি চা বানাতে গিয়ে চায়ের জোগাড় করে গ্যাস জ্বালাতেই লেলিহান অগ্নিশিখা মুহূর্তে গিয়ে লাগল গগন বাবুদের বাড়ির খড়ের চালে।
না! আর সময় পাননি! চোখের সামনে ভস্মীভূত হতে থাকে মাথা গোঁজার একমাত্র ঠাঁইটা। আগুনের আলোকে পাড়া প্রতিবেশী ছুটে এসে কোনক্রমে জ্বলন্ত সিলিন্ডারকে ঠেলে ফেলে পুকুরে। ততক্ষণে পুড়ে ছাই হয়েছে বাড়ি এবং বাড়ির যাবতীয় সব। সাথে পুড়ে ছাই প্রায় দু লক্ষ টাকা।
পরিবারের পক্ষে জানানো হয়েছে,যেটুকু জমি ছিল তার কিছু বিক্রি করে শুরু হয়েছিল পাকা বাড়ি তৈরির কাজ। কয়েকদিনের মধ্যেই ছাদ ঢালাই। সেই ছাদ ঢালাইয়ের জন্য প্রায় দু লক্ষ নগদ জমিবিক্রিরই টাকা রাখাছিল বাড়িতে। আজ আগুনে সে সম্বল টুকুও প্রায় শেষ। অধিকাংশ নোটই পুড়ে গেছে। যে কটি নোটকে রক্ষাকরা সম্ভব হয়েছে সেগিলির বেশিরভাগই পোড়া।
স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য অরুন বড়দোলই জানান,ঘটনাস্থলে দমকল ও ঘাটাল পুলিস পৌচ্ছেছে। পুড়ে যাওয়া টাকা গুলি গননা করে প্রায় ১ লক্ষ ৩১ হাজার টাকার হদিস মিলেছে। তিনি আরও জানান বাড়ির এক মেয়ের বিয়ের জন্য গগন বাবুর বড় বৌমা বেসকিছু টাকা একটি ছোটো ব্যাগে জমিয়ে রেখে ছিলেন। সে ব্যাগ পাওয়া যায়নি। মনে করা হচ্ছে সে ব্যাগটি সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়েছে।
গগনবাবুর পরিবার তেমন স্বচ্ছল নয় যে আবার টাকা লাগিয়ে নতুন বাড়ির ছাদ ঢালাইয়ের কাজ শেষ করতে পারবেন।
বাড়ি নেই! নতুন বাড়ি তৈরির রসদ নেই! রাতে খাবার কিচ্ছু নেই!
এখন দেখার প্রশাসন গগনবাবুর এই দুর্দিনে কতটা সাহায্য করতে পারে।