বিদ্যালয়ের স্তরে নতুন পাস করা স্নাতকদের ইন্টার্ন হিসাবে শিক্ষকতার কাজে নিয়োগের সিদ্ধান্ত ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষক শিক্ষাকর্মী শিক্ষানুরাগী ঐক্যমঞ্চের রাজ্য কমিটির যুগ্ম সম্পাদক কিংকর অধিকারী তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে এক বিবৃতিতে দিলেন।
তিনি বলেন, “বিদ্যালয়ে হাজার হাজার শূন্যপদে পূর্ণ সময়ের শিক্ষক নিয়োগ না করে বিদ্যালয় স্তরে ইন্টার্ন শিক্ষক নিয়োগ করার মাধ্যমে সরকার শিক্ষা ক্ষেত্রে তার আর্থিক দায়ভার ঝেড়ে ফেলে দিতে চাইছে। এর ফলে স্কুল শিক্ষা ব্যবস্থার সলিল সমাধি ঘটবে। শিক্ষিত বেকারদের সামনে খুড়োর কল দেখিয়ে যৎসামান্য অর্থ দিয়ে খাটিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা শুধুমাত্র অমানবিক নয়, অসাংবিধানিকও বটে। পূর্ণ সময়ের শিক্ষক নিয়োগ-এর পরিবর্তে ছিটেফোঁটা অর্থ দিয়ে পূর্ণ সময়ের মতো করে বেকারদের খাটিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা মধ্যযুগের অমানবিক বর্বরতাকে স্মরণ করিয়ে দেয়। স্কুল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে দক্ষ শিক্ষক নিয়োগ-এর পরিবর্তে দলীয় আনুগত্যই প্রাধান্য পাবে। ফলে বিদ্যালয়ের শিক্ষা ব্যবস্থা যতোটুকু তার মর্যাদা নিয়ে টিকে আছে তাও ভেঙে পড়ার উপক্রম হবে। পূর্বতন সরকারের আমলে পার্শ্ব শিক্ষক নিয়োগের মাধ্যমে যেভাবে অল্প বেতনের বিনিময়ে খাটিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল একইভাবে আজও শিক্ষিত বেকারদের ছিটেফোঁটা বেতন দিয়ে খাটিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা চলছে। এর ফলে শিক্ষার মান তলানিতে পৌঁছবে। পরোক্ষভাবে অভিভাবকদের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে। শিক্ষা ক্ষেত্রে এত বড় সর্বনাশ আমরা কোনমতেই হতে দিতে পারি না। ফলে রাজ্যের সকল শিক্ষক, শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিদের কাছে আবেদন আপনারা দল-মত-নির্বিশেষে সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্য তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলুন।”
গতকাল থেকেই রাজ্যের এই ঘোষণায় বিভিন্ন মহলে নানা সমালোচনার ঢেউ উঠেছে। এরই মাঝে কিংকরবাবুর এই বিবৃতি সমালোচনাকে আরও উস্কে দেবে আশা করাযায়।
মোবাইলে নিয়মিত খবর পড়তে এইখানে ক্লিক করুন Whatsapp