তৃপ্তি পাল কর্মকার: অ্যাডমিট কার্ড ছাড়াই মাধ্যমিকের পরীক্ষা সেন্টারে এসে গিয়েছিল সোনাখালি হাইস্কুলের ছাত্র শুভাশিস জানা। কিসমৎ সয়লার বাসিন্দা ওই ছাত্রের পরীক্ষার সেন্টার পড়েছিল চাঁইপাট হাইস্কুলে। চাঁইপাট সেন্টারে এসে তার অ্যাডমিট নেই জানার সঙ্গে সঙ্গেই প্রচণ্ড মন খারাপ হয়ে যায় শুভাশিসের। একে অঙ্ক পরীক্ষা তারওপর সঙ্গে অ্যাডমিট নেই—এই রকম পরিস্থিতিতে সে যখন উদ্ভ্রান্ত তখনই তাকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন ওই সেন্টার এলাকায় দায়িত্বে থাকা চাঁইপাট গ্রামপঞ্চায়েত এলাকার ভিলেজ পুলিশ শেখ নাসিম আলি। তিনিই সেন্টার স্কুলের টিআইসি’র সঙ্গে কথা বলে ছাত্রটিকে নিশ্চিন্তে পরীক্ষা বসতে বলেন। সঙ্গে সঙ্গে শুভাশিসের বাড়ি থেকে অ্যাডমিট আনার ব্যবস্থা করে দেন। নাসিমবাবুর ওই মানবিক মুখ দেখে অভিভূত স্কুলের টিআইসি মোহন মাইতি সহ অন্যান্য অভিভাবকরা। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন শুভাশিসের পরিবারের সদস্যরা। তাঁরা বলেন, নাসিমবাবু না থাকলে শুভাশিসকে অনেক দেরীতে পরীক্ষায় বসতে হত। আর উদ্বেগে পরীক্ষাটাও খারাপ হয়ে যেত। এবিষয়ে বিনয়ী নাসিমবাবুর উত্তর, ছাত্রটি নির্বিঘ্নে পরীক্ষা দিতে পেরেছে জানতে পেরে খুব ভালো লেগেছে। আমি এতেই খুশি।তবে অ্যাডমিট আনার ব্যাপারে আমার একার নয়, গোছাতি গ্রামপঞ্চায়েতের ভিলেজ পুলিশ সিদ্ধিনাথ পালেরও যথেষ্ট ভূমিকা ছিল।