রণিত ভট্টাচার্য, ‘স্থানীয় সংবাদ’, ঘাটাল: দসাত সকালেই কালী ও মনসা মূর্তির চোখে জল, তা দেখতেই ভিড় জমল খড়ার শহরে। হঠাৎ মনসা ঠাকুরে চোখ থেকে পড়ছে জল, আর তা ঘিরে হুলুস্থুল কাণ্ড। আজ ১৩ নভেম্বর ২০২৩ সকালে ঘটনাটি ঘটেছে খড়ার পৌরসভার কৃষ্ণপুরের মিঠু মালিকের বাড়িতে। মিঠু জানান, আজ সকালে তাঁদের পারিবারিক মন্দিরের গেট খুলতেই দেখা যায় মন্দিরে থাকা মনসা ও কালী বিগ্ৰহের চোখ থেকে কান্নার মতো করে জল পড়ছে। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই এই দৃশ্য দেখার জন্য সকাল থেকে ভিড় জমতে থাকে এলাকাবাসীর। খড়ারের মালিক পরিবারের বহু প্রাচীণ একটি ছোট্ট মন্দিরে এইরকম তাজ্জব ঘটনা,কিন্তু কি কারণে এই রকম ঘটনা তা কিন্তু স্পষ্ট নয়। তবে ওই মন্দিরের পুরোহিত তরুণ চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, কোনও কারণে বিগ্রহের অঙ্গহানি হয়েছে যেটা আমরা বুঝতে পারিনি। তার কারণেই বিগ্রহের চোখের জল।
ঘাটাল মহকুমায় কুসংস্কার বিরোধী এবং যুক্তিবাদী আন্দোলনের যুক্ত রয়েছেন খড়ার শহর লাগোয়া শ্রীমন্তপুর প্রাথমিক বিদ্যালের শিক্ষক রথীন্দ্র কর্মকার। তিনি বলেন, এটা বাস্তবে কোনও ভাবেই সম্ভব হতে পারে না। হয় পুজো করার সময় কিংবা মন্দির পরিষ্কারের সময় পাত্র বা হাতের জল কোনও ভাবে ওই প্রতিমার চোখের কাছে পড়ে গিয়েছিল সেজন্যই বিগ্রহের চোখে জল দেখা দিয়েছে। অথবা মন্দির ও প্রতিমার গুরুত্ব বাড়ানোর জন্য এটা পূর্ব পরিকল্পনা মাফিক করা হয়েছে।
বিজ্ঞান যাই বলুক, ভক্তেরা বিজ্ঞানের ব্যাখ্যায় গুরুত্ব দিতে মোটেই রাজি নয়। তাঁরা বলেন, দেবীরা কোনও ভাবে রুষ্ট তাই ওই ঘটনা ঘটেছে।