সন্তু বেরা, ‘স্থানীয় সংবাদ’, ঘাটাল: মা বাতাসী বিদ্যালয়ের মিড ডে মিলের রাঁধুনি। ছেলে সায়নদীপ রোজ মায়ের কোলে চড়ে দাসপুরের সরবেড়িয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়তে আসে।
[✔‘স্থানীয় সংবাদ’-এর সমস্ত কিছু জানতে এখানে ক্লিক করুন]
পড়াশোনায় যথেষ্ট তুখোড় কিন্তু তার চলার ক্ষমতা নেই। এখন সায়নদীপ চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ে। বাবা বিশ্বজিৎ বাগ লোকের পুকুরে মাছ চাষ করেন। আর্থিক সমস্যার কারণে ছেলের প্রতি যত্ন নিতে পারেন না বাবা বিশ্বজিৎ বাগ ও মা বাতাসী বাগ। রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছে ৭ম পর্যায়ের দুয়ারে সরকার। ১৪ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার দাসপুর ১ ব্লকের সরবেড়িয়া ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে দুয়ারে সরকার ক্যাম্প বসে। সেই ক্যম্পে সরবেড়িয়া গ্রামের বিশ্বজিৎ বাগ ছেলে সায়নদীপের সমস্যার কথা জানান দাসপুর ১ ব্লক প্রশাসনের কাছে এবং তিনি আবেদন করেন ছেলের এই সমস্যা সমাধানে প্রশাসনের হস্তক্ষেপের। আজ ১৫ সেপ্টেম্বর শুক্রবারের বিকেলে দাসপুর ১ বিডিও বিকাশ নস্কর এবং দাসপুর ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুকুমার পাত্র সায়নদীপের পাশে দাঁড়ালেন। শুধুমাত্র কথার কথা পাশে দাঁড়াতে নয়, বিশ্বজিৎ বাগ ও তাঁর পুত্রের মনোবল ফিরিয়ে দিতে এগিয়ে এলো গোটা দাসপুর ১ ব্লক প্রশাসন। আজ শুক্রবার দাসপুর ১ ব্লক অফিসে সায়নদীপকে বসিয়ে দেওয়া হল নতুন একটি হুইল চেয়ারে, সাথে দেওয়া হল ৫ হাজার টাকার আর্থিক সহায়তা এবং নতুন জামা। সায়নদীপের পাশে দাঁড়ালেন দাসপুর ১ বিডিও বিকাশ নস্কর, দাসপুর ১ পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি সুকুমার পাত্র, জয়েন বিডিও শিশির মাহালী সহ সারা দাসপুর ১ ব্লক প্রশাসন। বিডিও বিকাশ নস্কর এবং পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুকুমার পাত্র জানান, এই ছোটবেলা থেকেই হাঁটার ক্ষমতা না থাকায় ছেলেটি মানসিকভাবে ভেঙে পড়ছিল। তাই প্রাথমিকভাবে আপাতত ওকে একটি ট্রাই সাইকেল দেওয়া হল। এতে করে ও এদিক ওদিক যাতায়াত করলে মন ভালো হবে। এরই মাঝে সায়নদীপের চিকিৎসাও চলবে। পরীক্ষানিরীক্ষায় যদি সায়নদীপের হাঁটার ক্ষমতা ফেরার কোনো আশা থাকে সে দিকেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।