মনসারাম কর: কৃষি দপ্তরের উদ্যোগে ঘাটাল মহুকুমা ব্যাপী যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে “কৃষক বন্ধু” প্রকল্পে কৃষকদের নাম নথিভুক্তিকরণের কাজ। তবে জমির ক্ষয়ক্ষতি দেওয়ার মতো রাজনৈতিক দলের পার্টি অফিসে বসে এই কাজ এবার আর কোনভাবেই করা যাবেনা। এই নিয়ে প্রথম থেকেই তৎপর কৃষি দপ্তর। মহকুমার বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে এই প্রকল্পের ফর্ম দেওয়া এবং জমা নেওয়ার জন্য ক্যাম্প খোলা হয়েছে। মাইক প্রচার করে কৃষকদের তা জানিয়েও দেওয়া হয়েছে।
এই ফরম পাওয়া যাচ্ছে গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমেও। এই প্রকল্পের সুবিধা পেতে গেলে কৃষককে অবশ্যই নির্ধারিত তারিখে এই ক্যাম্পে হাজির হতেই হবে। সঙ্গে নিয়ে আসতে হবে ১) ভোটার কার্ড ২) জমির সাম্প্রতিক পর্চা বা রেকর্ড (২০১৭ থেকে গ্রহণযোগ্য) ৩) ব্যাংকের পাসবুক জেরক্স ৪) আধার কার্ড ৫) ফরম ফিলাপের সময় যাকে নমিনি করা হবে তাঁর আধার কার্ড।
ঘাটালের সহ কৃষি অধিকর্তা প্রদ্যুৎ গুছাইত জানিয়েছেন ” জানুয়ারি মাস থেকে এই প্রকল্পের কাজ শুরু হলেও এখনো চলছে। শুধু গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাতেই নয় পৌরসভাতেও এর কাজ চলছে। যে কোন ব্যক্তি, যার নামে জমি আছে সে এই প্রকল্পের সুবিধা পেতে পারবে। এই প্রকল্পে বছরে দুটি ধাপে চাষীকে সহায়তা প্রদান করা হবে। এই প্রকল্পে প্রত্যেক কৃষক বার্ষিক সর্বনিম্ন ২০০০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ৫০০০ টাকা পর্যন্ত সহায়তা পেতে পারবে। এই টাকা দেওয়া হবে চেকের মাধ্যমে। ঘাটাল ব্লকে এই মুহূর্তে ৪০০০০ (চল্লিশ হাজার) উপভোক্তা কে সুবিধা দেয়ার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ২৫০০০ (পঁচিশ হাজার) আবেদনের কাজ হয়ে গিয়েছে। বাদবাকি খুব শীগ্রই হয়ে যাবে।
তিনি আরো বলেন ১৮ থেকে ৬০ বছরের কোন কৃষকের স্বাভাবিক বা অস্বাভাবিক মৃত্যুতে তার পরিবারের হাতে দু লক্ষ টাকা আমরা তুলে দিয়ে থাকি। ইতিমধ্যে ঘাটাল ব্লকে ৯ জনকে এই সুবিধা দেওয়া হয়েছে এবং ঘাটাল মহুকুমাতে এখন পর্যন্ত ৫০ জন কৃষকের মৃত্যুর জন্য তার পরিবারকে মোট এক কোটি টাকা মৃত্যুকালীন সুবিধা হিসাবে দেওয়া হয়েছে।