সৌমেন মিশ্র, স্থানীয় সংবাদ, ঘাটাল: প্রচুর পরিমানে গোডাউনে রাখা রেশন সামগ্রী। না কোনো রেশন ডিলারের গোডাউন নয়। সাধারণ ব্যবসাদার। রামজীবনপুর এলাকার ওই গোডাউন সিজ করা হল।
রেশনের চাল আটা বা রেশন থেকে দেওয়া রেশনের দ্রব্য কিনে সেগুলিকে গুদামজাত করা এবং সেগুলিকে বিভিন্ন ভাবে আবার চড়া দামে বাজারে বিক্রয় এই বিষয়টি কিন্তু বড়সড় ক্রাইমের মধ্যে পড়ে। এমন কাজে ধৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে খাদ্য সুরক্ষার নানা ধারায় মামলা রজু হয়। ঘাটাল মহকুমা জুড়ে এমন একাধিক ব্যক্তি রেশনের চাল ডাল আটা কিনে সেগুলিকে গুদামজাত করে ঘুরে প্যাকেট করে সেগুলিকেই আবার বাজারে চড়া দামে বিক্রি করে প্রচুর মুনাফা করছে। এ বিষয়ে লাগাতার অভিযান চালাচ্ছে ঘাটাল মহকুমা প্রশাসন। খবর পেলেই পুলিশকে সাথে নিয়ে ঘাটাল মহকুমা শাসক, ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট বা মহকুমা খাদ্য সুরক্ষা আধিকারিকরা পৌঁছে যাচ্ছেন এলাকায়। সিজ করছেন এমন রেশনের দ্রব্য মজুত রাখা গোডাউন। এই কাজের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে নেওয়া হচ্ছে আইনি ব্যবস্থা। আজ বুধবার দুপুরে চন্দ্রকোনা থানার রামজীবনপুরে বে আইনি ভাবে রাখা এক রেশন সামগ্রী ভর্তি গোডাউন সিজ করল ঘাটাল মহকুমা প্রশাসন। ঘাটাল মহকুমার ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট অর্জুন পাল জানান আজ তাঁরা রামজীবনপুরে সুপ্রভাত দত্ত নামে এক ব্যক্তির গোডাউনে রেড করেন। দেখেন গোডাউনে মজুত বহু রেশনের আটা,রেশন সামগ্রীর প্যাকেট। সেগুলিকে আবার অন্য প্যাকেটে ভরে বাজারে বিক্রির ব্যবস্থা ছিল। অর্জুন বাবু আরও জানান এই সুপ্রভাত দত্তের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরেই রেশন সামগ্রী বাজার থেকে কিনে আবার তা প্যাকেট করে বাজারে চড়া দামে বিক্রয়ের অভিযোগ ছিল। আজ তার গোডাউনে রেড করে বিষয়টি দেখা গেল। পুলিশ প্রশাসনের এই অতর্কিত হানায় ঘটনাস্থল ছেড়ে উধাও হয় দুষ্কৃতিরা। ফেলে যায় একটি গাড়ী। তবে যাবার আগে গোডাউন টি তালা দিয়ে পালিয়ে যায়। সুপ্রভাত দত্তের নামে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি হতে পারে বলে প্রশাসনিক সুত্রে জানা গেছে।
ইতি মধ্যেই ওই গোডাউন সিজ করা হয়েছে। জানা গেছে ঘাটাল মহকুমাশাসক সুমন বিশ্বাসের নির্দেশে রামজীবনপুরে আজকের এই বিশেষ অভিযানে ছিলেন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট অর্জুন পাল। ঘাটাল মহকুমা খাদ্য ও সরবরাহ নিয়ামক নন্দদুলাল দাস, ঘাটাল মহকুমা খাদ্য ও সুরক্ষা আধিকারিক অরুণাভ দে, মহকুমা লিগ্যাল মেট্রোলজির ইন্সপেক্টর আনন্দ প্রামাণিক।