রবীন্দ্র কর্মকার, স্থানীয় সংবাদ: হঠাৎ এ-নেগেটিভ গ্রুপের রক্ত প্রয়োজন। ব্লাড [✔‘স্থানীয় সংবাদ’-এর সমস্ত কিছু জানতে এখানে ক্লিক করুন]ব্যাঙ্কে ওই গ্রুপের রক্ত অমিল। কী করবেন খুঁজে না পেয়ে দিশাহার অবস্থা দাসপুর-১ ব্লকের কল্মীজোড়ের বাসিন্দা শ্রীমন্ত সী-র বাড়ির লোকের। অসুস্থতার জন্য শ্রীমন্তবাবু ঘাটাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। হঠাৎ রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কমে ৫ এর কাছাকাছি নেমে যায়। ডাক্তারবাবু তাড়াতাড়ি রক্ত দেওয়ার কথা বলেন। কিন্তু ওই গ্রুপের রক্ত বিরল হওয়ায় ব্লাড ব্যাঙ্কে গিয়ে হতাশ হয়ে ফিরে আসতে হয় বাড়ির লোকদের। অগত্যা মহকুমা শাসকের দ্বারস্থ হন তাঁরা। মহকুমা শাসকের ডাকে ঘাটালের এক শিক্ষক মহম্মদ কবিরুলের এক ফোনেই মিলনবাবু হাসপাতাল চলে যান রক্ত দিতে। সম্প্রতি মহকুমা শাসক প্রতিটা রক্তের গ্রুপ ধরে মহকুমা জুড়ে রক্তদাতাদের নাম-ঠিকানা সংগ্রহ করার একটা ব্যবস্থা করে রেখেছিলেন। সেই সিস্টেমকে কাজে লাগিয়ে ঘাটালের হরিসিংপুরের বাসিন্দা তথা ঘাটাল পোষ্ট অফিস চকের মিষ্টি দোকানের ব্যবসায়ী মিলন সামন্তকে ওই একই গ্রুপের রক্তের মানুষ হিসেবে খোঁজ পাওয়া যায়। মিলনবাবুকে ফোন করতেই তিনি প্রায় দৌড়ে চলে যান হাসপাতালে। দান করেন রক্ত। মিলনবাবুর ওই উপকারে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন রোগীর বাড়ির লোকজন। একই সঙ্গে মহকুমা শাসকের মস্তিষ্কপ্রসূত ওই সিস্টেমেরও প্রশংসা করেন তাঁরা।