সৌমেন মিশ্র, স্থানীয় সংবাদ, ঘাটাল: নবম শ্রেণির ছাত্রীর বিয়ে রুখে দিয়ে বিদ্যালয়ের মনের কথার [✔‘স্থানীয় সংবাদ’-এর সমস্ত কিছু জানতে এখানে ক্লিক করুন] বাক্স এখন ছাত্রীদের ভরসা। আমি বিয়ে করতে চাই না পড়তে চাই, আমার বাড়ির লোকেরা আমায় জোর করে বিয়ে দিতে চাইছে। আমায় সাহায্য করুন। বুধবার ছাত্রী তার মনের কথা লিখে বিদ্যালয়ের ‘মনের কথা’র বাক্সে ফেলেছিল। এদিকে দুপুর থেকেই বিদ্যালয়ের ছাত্রী নিবাস থেকে নবম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে জোর করে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার চেষ্টায় বাড়ির লোকেরা। এমনকি যে পরিবারের সাথে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা, অভিযোগ সেই পরিবারেরও লোকজন মেয়েকে নিয়ে যেতে বিদ্যালয়ের ছাত্রী নিবাসের মধ্যে জোর করে ঢোকার চেষ্টা করে। ততক্ষণে ‘মনের কথা’ বাক্স থেকে ওই ছাত্রীর মনে কথার চিঠি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকার হাতে। তড়িঘড়ি প্রধান শিক্ষিকা সমস্ত বিষয়টি জানান ঘাটালের মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাস, দাসপুর ১ বিডিও বিকাশ নস্করকে। দ্রুত বিদ্যালয়ে পৌঁছায় দাসপুর থানার পুলিশ। নাবালিকা যে ছাত্রী নিবাসে থাকে সেই ছাত্রী নিবাসে রাত পাহারার ব্যবস্থার পাশাপাশি তার বাড়িতে যায় পুলিশ। প্রাথমিকভাবে পরিবারের সাথে পুলিশ কথা বলে বিষয়টি বোঝানোর চেষ্টা করে। পরিবারের সদস্যদের দিয়ে মুচলেকা লিখিয়ে নেওয়া হয় বিয়ে না দেওয়ার জন্য। অন্যদিকে বিদ্যালয়ের ওই নবম শ্রেণির ছাত্রীর সাথে কথা বলে তাকে আস্বস্ত করা হয় বিয়ে নয়, সে পড়াশোনাই করবে। ঘটনা দাসপুর থানার নাড়াজোলে নাড়াজোল অমরেন্দ্রলাল খান বালিকা বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর। নাড়াজোলেরই বাসিন্দা ওই ছাত্রী ওই বিদ্যালয়েরই ছাত্রী নিবাসে থেকে পড়াশোনা করে। ওই ছাত্রীরই জোর করে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা পণ্ড করে বিদ্যালয়ের ওই মনের কথা বাক্স। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা পলি পাহাড়ি, পাশাপাশি ঘাটালের মহকুমাশাসক সুমন বিশ্বাসও জানাচ্ছেন নবম শ্রেণির এই ছাত্রীর জোর করে বিয়ে দেওয়ার ঘটনায় বিদ্যালয়ের কন্যাশ্রী ক্লাবের ওই মনের কথা বাস্কই নাবালিকার পক্ষে দাঁড়িয়ে তার বিয়ে রোধ করে দিল। নাবালিকা নিজের ইচ্ছেতে পড়াশুনায় আবার মন দিতে পারলো।