শ্রীকান্ত ভুঁইয়া, স্থানীয় সংবাদ, ঘাটাল: চোখে অধ্যাপক হবার স্বপ্ন তার, দুটি হাত দুটি পা নেই জন্থ থেকেই। এই একশ শতাংশ প্রতিকূলতা সঙ্গে নিয়ে এবার সোনামুই হাইস্কুল সেন্টার থেকে উচ্চ মাধ্যমিকে বসেছে গোপাল ভৌমিক। দাসপুর-২ ব্লকের গোমকপতা গুণধর বিদ্যামন্দিরের ছাত্র গোপাল। ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুব্রত বুড়াই বলেন, বরাবরের জন্যেই পড়াশোনায় মনোযোগী গোপাল। খুব আগ্রহের সঙ্গে পড়াশোনা করে। ওর পাগুলো নেই বললেই চলে শুধু ডান পায়ে চারটে আঙ্গুল রয়েছে, তাতেই লেখার কাজ করে। স্কুলে লিখতে পারলেও উচ্চ মাধ্যমিকে সে তার ভাই রাকেশকে নিয়েছে রাইটার হিসেবে। পরীক্ষা কেন্দ্রে এসে গোপাল গৌরা গ্রামপঞ্চায়েতের ভিলেজ পুলিশ কৌশিক জানার আন্তরিক সাহায্য পেয়েছে।
তিন ভাইবোনের মধ্যে দিদি বড়, গোপাল মাঝের জন, ভাই ছোট। তিন ভাইবোনের মধ্যে গোপালের প্রতিবন্ধকতা ১০০ শতাংশ। বিএডের ছাত্রী দিদি রিম্পা বলেন, গোপাল নিজে খেতে পারে না, খাইয়ে দিতে হয়, অনান্য কাজ করে দিতে হয় তবু পড়াশোনার জেদটা প্রবল। মাধ্যমিকে ৪৭৯ নাম্বার নিয়ে পাশ করে কলা বিভাগ থেকে উচ্চ মাধ্যমিকে বসেছে সে। তবে যাতায়াত সমস্যা ছিল বলে স্কুল কম যেত, স্কুল তাকে এই ব্যাপারে পুরো সমর্থন করেছে। ভবিষতে প্রফেসর হতে চায় গোপাল।