সুইটি রায়: করোনা পরিস্থিতিতে ঘাটাল মহকুমার পুজো কমিটিগুলির যাতে দুর্গাপুজোর অনুমতি পেতে অসুবিধা না হয়, সেই দিকে লক্ষ্য রেখে মহকুমা প্রশাসনের পক্ষ থেকে যে অনলাইন ওয়েবসাইটটি প্রকাশ করা হয়েছিল, তাতে ব্যাপক সাড়া মিলেছে। ঘাটাল মহকুমা প্রশাসন সূত্রের খবর, এই বছর সারা মহকুমায় মাইক ও পুজো মিলিয়ে মোট ৭০১টি আবেদন পড়েছিল। তার মধ্যে সর্বজনীন দুর্গা পুজোর জন্য ছিল ৩০৪টি আবেদন এবং মাইকের জন্য ছিল ৩৯৭টি।
আর এই বিপুল সংখ্যায় আবেদনপত্র চেক করে পারমিশন দেওয়ার কাজ সুসম্পন্ন করা হয়েছে রেকর্ড সময়ে এবং কোনোরকম জটলা বা ভিড় ছাড়াই। গতবারের মতো পুজো কমিটির সদস্যদের বিভিন্ন অফিসে ছোটাছুটিও করতে হয়নি। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী প্রতিটি পুজো কমিটিকে পুলিশের পক্ষ থেকে ৫০ হাজার টাকার চেক তুলে দেওয়ার কাজও শেষ হয়েছে।
খুব অল্প সময়ের মধ্যেই মহকুমা জুড়ে এই অনলাইন পোর্টালটি ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। পুজোর পরেই এই পোর্টালে বিনামূল্যে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার অনলাইন ক্লাস এবং মক টেস্ট শুরু হবে বলে জানা গেছে। এছাড়া এই পোর্টালে এই বছরের কিছু পুজো মণ্ডপের লাইভ স্ট্রিমিং করার পরিকল্পনা চলছে। এর ফলে করোনা পরিস্থিতিতে ঘরে বসেই ঘাটাল মহকুমার সাধারণ মানুষ প্রতিমা দর্শন করতে পারবেন।
এত সহজে বাড়িতে বসেই পুজোর অনুমতি পেয়ে স্বভাবতই খুশি পুজো কমিটিগুলি। দাসপুর-২ ব্লকের দুবরাজপুর দুর্গাপুজো কমিটির পুজো এবছর ১৪ বছরে পদার্পন করেছে। পুজো কমিটির সম্পাদক শ্যামলকুমার মণ্ডল বলেন, অনলাইনে আবেদন করার পর এই বছর ফায়ার সার্ভিসের অনুমতি সহ অন্যান্য অনুমতিগুলিও মহকুমাশাসক দপ্তর থেকে ইমেল করা হয়েছে। মাইক ও পুজোর অনুমতির অরিজিনাল কপি দপ্তর থেকে সংগ্রহ করেছি। অন্যবারের মতো এ অফিস, সে অফিস ছোটাছুটি করতে হয়নি। দপ্তরের কর্মচারিরা চা খাইয়েছেন। দায়িত্বপ্রাপ্ত ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট অর্জুন পাল নিজে খুঁটিনাটি জানতে চেয়েছেন। যেভাবে স্বচ্ছতার সাথে এবারে কাজ হল, সেটা ভবিষ্যতে চালু থাকলে আমরা খুবই খুশি হব।
তবে ১৮ অক্টোবর শনিবার বিকেলে দাসপুরের তিন-চারটি পুজো কমিটি মহকুমাশাসক দপ্তরে এসে পুজোর আবেদন মঞ্জুর করার ব্যাপারে গড়িমসির অভিযোগ তুলেছে। এই ব্যাপারে ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট অর্জুন পাল জানান, এই অনলাইন পোর্টালটি নতুন। যারা ব্যবহার করছেন তাঁরাও প্রথমবার এই পদ্ধতিতে কাজ করছেন। সকলের সড়োগড়ো হতে তো সময় লাগবেই। তিন চার জন ক্ষুব্ধ ছিলেন। ওনারা অনলাইনে কোনো আবেদন করেন নি। কেবল মাত্র পুলিশের দেওয়া চেকের জেরক্স কপি বা ব্যাঙ্কে জমা দেবার রসিদ নিয়ে চলে এসেছিলেন। ওনাদের সঠিক কোনও কাগজপত্র না থাকায় ওনাদের পরে কাগজপত্র এনে দেখা করতে বলা হয়েছিল। তাতেই অধৈর্য হয়ে তাঁরা চিৎকার শুরু করেন। তিনি আরও জানান, পরবর্তী ক্ষেত্রে লক্ষ্মীপুজো ও কালীপুজোতে যাতে পুজো কমিটিগুলিকে একেবারেই দপ্তরে না আসতে হয়, তার জন্য সমস্ত পারমিশন কপি ইমেলে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য লক্ষ্মীপুজোর পারমিশনের জন্য আবেদনের কাজও ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে।।
•এই খবর সম্পর্কিত ভিডিওটি দেখতে চাইলে ▶এখানে ক্লিক করতে পারেন।
ঘাটাল মহকুমার সমস্ত খবর পেতে আমাদের MyGhatal মোবাইল অ্যাপ ডাউনলোড করুন [লিঙ্ক 👆] এবং ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে রাখুন[লিঙ্ক 👆]।