সৌমেন মিশ্র:সাধারণ গ্রামবাসীদের আবেদনে ভ্রুক্ষেপ নেই প্রশাসনের হয়তো তাই মানুষের উপকারে যে জার্মান শেফার্ড প্রজাতির কুকুর জানপ্রাণ লড়িয়ে দেয় সে প্রজাতিরই এক সদস্য দেহে তীর বিদ্ধ হয়ে দাসপুর থানার নাড়াজোল এলাকার কাঁটাদরজায়। যে-কোন মুহূর্তে তাকে মেরে ফেলা হবে। নিজেদেরকে পাশাপাশি ছোটো ছোটো ছেলেমেয়েদেরকে কুকুরের কামড় থেকে বাঁচাতে আপাতত ওই গ্রামবাসীদের এই একটাই পথ। জানা যাচ্ছে কয়েকদিন ধরেই ওই কুকুরটি কাঁটাদরজার এক মাংস দোকানে ঘাঁটি গাড়ে। বাড়িতে রেখেও প্রভুর কাছে ভালো হয়ে উঠতে পারেনি ওই বিশেষ প্রজাতির কুকুরটি। মালিক তাকে ছেড়ে দিয়েছে। আবার বিশেষজ্ঞদের দাবি এই কুকুরকে সেভাবে বাড়িতে পোষা যায়না। এরা পুলিশের ডগ স্কোয়াডের কাজে লাগে। এদিকে ক্ষুধার জ্বালায় সে ক্রমশ হিংস্র হচ্ছিল। গ্রামের মানুষ সংবাদমাধ্যমের দ্বারস্থ হয়ে প্রশাসনের কাছে আবেদন রেখেছিলেন ওই কুকুরকে উদ্ধার করে তার উপযুক্ত পরিবেশে পাঠানোর জন্য। হয়তো কলকাতার মতো শহর হলে পশুপ্রেমীদের লাইন পড়ে যেত, মুহুর্মুহু বিভিন্ন অভিনেতা অভিনেত্রীরা তার কাছে খাবার দাবার নিয়ে ছুটে আসতেন। কিন্তু পশু প্রেমী থেকে প্রশাসন কেউই এগিয়ে এল না সেই কুকুরকে উদ্ধারে। এদিকে জানা যাচ্ছে বর্তমানে ওই কুকুর আরও হিংস্র হয়েছে। একাধিক গ্রামবাসীকে কামড়েছে। সূত্রের খবর অগত্যা গ্রামবাসীরা এখন ওই কুকুরকে যেনতেন প্রকারে মেরেফেলার চেষ্টায়। ইতিমধ্যেই কুকুরটিকে লক্ষ্য করে তীর ছুঁড়েছে কেউ বা কারা। তারপর থেকেই সে তীর কুকুরটির দেহে আটকেও রয়েছে। বুধবার সেভাবে কুকুরটিকে আর দেখা যায়নি। তবে ২ বার কুকুরটি ওই তীরবিদ্ধ অবস্থাতেই ওই মাংস দোকানের সামনে আসে। তাড়া খেয়ে আবার গা ঢাকা দিয়েছে।
এখন প্রশ্ন প্রভু তাকে পোষ্য করে বাড়িতে রাখার জন্য নিয়ে এল,পরে সেই প্রভুই তাকে ছেড়ে দিল। ক্ষুধার জ্বালায় সে হন্যে হয়ে খাবারের সন্ধানে। না খেতে পেয়ে সে যখন হিংস্র হচ্ছে তাকে প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টায় রয়েছে আতঙ্কিত মানুষ। অন্যদিকে গ্রামের মানুষের রক্ষা কর্তা বা প্রশাসনের তরফেও কোনো সাড়া নেই। তাহলে কী দোষ ওই অবলা প্রাণীটির? আদৌও সে কি বেঁচে? যদি বেঁচেও থাকে এই প্রতিবেদন প্রকাশের পর তাকে কি উদ্ধারে টনক নড়বে পশু প্রেমীদের?
Home এই মুহূর্তে ব্রেকিং কোথায় পশুপ্রেমীদের প্রেম? অনাহারে অসহায় জার্মান শেফার্ড তীরবিদ্ধ হয়ে রাস্তায় রাস্তায়...