এই মুহূর্তে ক্রীড়া/অনুষ্ঠান অন্যান্য সাহিত্য সম্পাদকীয় নোটিশবোর্ড

E-Paper

‘জাল নথির উপর ভিত্তি করে রেজিস্ট্রি করার অভিযোগ’ ঘাটালের সাব রেজিস্ট্রার, ক্লাব এবং আইনজীবীর বিরুদ্ধে এফআইআর করা হল

Published on: March 17, 2020 । 8:08 AM

নিজস্ব সংবাদদাতা: ‘জাল নথি তৈরি করে’ ঘাটাল শহরের একটি জায়গার মালিককে ‘প্রতারণা’ করে তাঁর জায়গা হাতিয়ে নেওয়া অভিযোগ উঠল শহরেরই একটি ক্লাবের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি ওই জায়গার মালিক ক্লাব সহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ তুলে ঘাটাল আদালতে ফৌজদারি মামলা দায়ের করলেন। জায়গার মালিকের নাম দেবাশিস কর্মকার। তাঁর আদি বাড়ি ঘা্টাল শহরের কোন্নগরে হলেও তিনি ব্যবসা সূত্রে বর্তমানে মেচোগ্রামে থাকেন। যে ক্লাবের বিরুদ্ধে ওই মামলা করা হয়েছে সেই ক্লাবের নাম যাত্রিক ক্লাব। শিলাবতী নদী সংলগ্ন ঘাটালের পুরানো রেজিস্ট্রি অফিসের সামনে ওই ক্লাবটি রয়েছে।
যাত্রিক ক্লাবের সদস্য প্রদীপ হড়, সুব্রতকুমার মাজি, অরবিন্দ ঘোষের নাম উল্লেখ করে এবং সেই সঙ্গে অন্যান্য সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এছাড়াও ওই ‘অবৈধ’ কাজটি সম্পন্ন করতে সহযোগিতা করার জন্য ঘাটাল ব্লকের ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক, ঘাটালের এডিএসআর (অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট সাব-রেজিস্ট্রার) এবং ওই অফিসের কর্মী, ঘাটাল থানা এবং যে আইনজীবী জায়গা রেজিস্ট্রির সময় স্বাক্ষর সনাক্ত করেছিলেন তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। তাই তাঁদের নামেও ঘাটাল আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, কোন্নগরের ওই ক্লাবের সামনে প্রায় পাঁচ শতক জমি দেবাশিসবাবু ২০১১ সালে ঘাটাল ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সন্দীপ চৌধুরীর কাছ থেকে কিনেছিলেন। সেই জমির রেকর্ড হয় ২০১৬ সালের ৪ মার্চ। তারপর ওই জমিটি কোনও ভাবে হস্তান্তর হয়নি। অভিযোগ, যেহেতু ওই ক্লাবের সামনে ওই জায়গাটি তাই ক্লাবের কর্মকর্তারা বিভিন্ন সরকারি মহলে ‘প্রভাব খাটিয়ে’ দেবাশিসবাবুর জায়গাটি প্রথমে সুব্রত মাজির নামে রেকর্ড করিয়ে নেয়। তারপর সুব্রতবাবু ওই জায়গাটি ক্লাবের নামে দানপত্র করে দেন। যার রেকর্ড হয় ২০১৯ সালের ৬ মে।
ভেতরে ভেতরে এত বড়­ ঘটনা ঘটে গেছে দেবাশিসবাবু জানতেন না। ক্লাবের সামনে দেবাশিসবাবু তাঁর নিজের জায়গাটিতে গাড়ি দাঁড় করিয়ে মালপত্র তোলা-নামানোর কাজ করতেন। গত বছর হঠাৎই ক্লাবের সদস্যরা তাঁকে জানান, ওখানে আর মালপত্র তোলা-নামানোর কাজ করা যাবে না। কারণ জায়গাটি ক্লাবের। তখনই দেবাশিসবাবুর সন্দেহ হয়। তিনি সার্চিং করে রেকর্ড বার করে দেখেন, তাঁর জায়গাটি সত্যিই ক্লাবের নামে হয়ে গিয়েছে। তখনই তিনি মামলা করার সিদ্ধান্ত নেন। মার্চ মাসে ঘাটাল আদালতে মামলা করা হয়।
দেবাশিসবাবুর পক্ষের আইনজীবী বলেন, পুরো প্রক্রিয়াটির মধ্যে একটি ‘জালচক্র’ লুকিয়ে রয়েছে। তা হলে এত বড় জালিয়াতি করা কোনও ভাবেই সম্ভব ছিল না।

নিউজ ডেস্ক

‘স্থানীয় সংবাদ’ •ঘাটাল •পশ্চিম মেদিনীপুর-৭২১২১২ •ইমেল: [email protected] •হোয়াটসঅ্যাপ: 9933998177/9732738015/9932953367/ 9434243732 আমাদের এই নিউজ পোর্টালটি ছাড়াও ‘স্থানীয় সংবাদ’ নামে একটি সংবাদপত্র, MyGhatal মোবাইল অ্যাপ এবং https://www.youtube.com/SthaniyaSambad ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে।