শুভম চক্রবর্তী:দেশজুড়ে করোনা প্রভাব বিস্তার করলেও ঘাটাল মহকুমা নিজেকে সামলে রেখেছিল দীর্ঘদিন ধরেই। কিন্তু সম্প্রতি সেই প্রাচীরেও ফাট ধরেছে। প্রথমে দাসপুরের এক যুবক এবং তার পরিবারের সদস্য তারপর খোদ ঘাটাল পৌরসভার মধ্যেই দেখা মেলে করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির। পুলিশ, স্থানীয় প্রশাসন ও স্বাস্থ্যকর্মীদের আপ্রাণ চেষ্টায় যেভাবে আটকে ছিল করনার গ্রাস তা নিমেষে থাবা বসালো কিছু মানুষের অবহেলায়।
এই ঘটনার পর পৌরএলাকা স্বাভাবিকভাবেই আশা করেছিল এক থমথমে,সজাগ পরিবেশের । কিন্তু বাস্তবিক তেমন কোনোও প্রভাব পড়ল না শহরে। পুলিশের কড়া নজরদারিতে রাস্তাঘাটে কিছুটা বাইকের আওয়াজ কম হলেও বাজারে ঠেকায় কে?
কি ভাবছেন ঘাটালবাসি তা জানতে আমরা পৌঁছেছিলাম সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের কাছে গাড়িচালক কৃষক শিক্ষক গৃহশিক্ষক এমনকি ছাত্রছাত্রীদের।শ্রমজীবী মানুষেরা আধপেটা খেয়ে হলেও নিজেদের স্বার্থে ও পুরো সমাজের স্বার্থে মেনে নিয়েছেন লকডাউন এমনই বক্তব্য সকলের। তা সত্ত্বেও পুলিশের নজর এড়িয়ে শহরের বিভিন্ন অলিতে-গলিতে চলছে তাস সহযোগে দেদার আড্ডা, কোথাও কোথাও সুরা আসরও বসছে নিয়মিত।
কিছু সচেতন মানুষ এর প্রতিবাদ করতে গিয়ে হেনস্থার শিকারও হয়েছেন। অবস্থা এমন কেন ঘাটালবাসি নাম লিখিয়েছে হেমলক সোসাইটি তে।
কেনইবা এমন হচ্ছে? ঘাটাল কি নিজেকে ভারতের বাইরের কোন দ্বীপ মনে করে?সমাধান কি আদৌ আছে কোনোও?