ছেলের আবদার,তাও আবার জন্মদিনে। তাই লকডাউনের মাঝেই আবদার পূরনে দাসপুরের দুঃস্থ ও দৃষ্টিহীনদের স্কুলে পৌঁছে গেল বাবা ও ছেলে। ১৪ মে বৃহস্পতিবার নিজের এবারের জন্মদিন টা একটু অন্যভাবে পালন করলো দাসপুর বিবেকানন্দ একাডেমির সপ্তম শ্রেনীর ছাত্র সৈয়দ আরমান।
নিজের টিফিনের জন্য বাঁচিয়ে রাখা কিছু টাকা নিয়ে বৈকুন্ঠপুর নিম্বার্কমঠ পরিচালিত দৃষ্টিহীন ছাত্র-ছাত্রী এবং বৃদ্ধাশ্রমের প্রায় ৩০ জন আবাসিকদের সঙ্গে নিজের আনন্দটা ভাগ করে নিল সে। নিজে হাতে আবাসিকদের হাতে যৎসামান্য টিফিনের প্যাকেট তুলে দিল সে।
প্রাথমিক শিক্ষক সৈয়দ মিসবাউলের পুত্র আরমানের এ হেন মানসিকতায় আপ্লুত নিম্বার্কমঠের মহারাজ সুবাস ত্রিপাঠী। আরমানকে আশীর্বাদ করে,বুকে জড়িয়ে আগামীদিনে একজন সত্যিকারের মানুষের মতো মানুষ হওয়ার জন্য শুভকামনা জানান মঠের মহারাজ।