ন’বছরের এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে আটক হলেন ৬০ বছরের বৃদ্ধ প্রাইভেট টিউটর। ঘটনা ঘিরে রাতেই তীব্র উত্তেজনা ছড়াল গ্রামে। প্রথমে গ্রামের মোড়লরাই শালিসি সভা ডেকে বৃদ্ধকে নিয়ে বসেন। কিন্তু অবস্থা বেগতিক দেখে খবর যায় পুলিস ও সংবাদ মাধ্যমে।
ঘটনাটি ঘটেছে দাসপুর থানার গোকুল নগরে। ২২ ফেব্রুয়ারি রাত ১০টা নাগাদ গোকুলনগরের গ্রামের সালিশি সভা থেকে ওই গৃহশিক্ষককে দাসপুর থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। অভিযুক্ত ওই প্রাইভেট টিউটরের বাড়ি পাশের গ্রাম দাদপুরে।
নাবালিকার মায়ের অভিযোগ কয়েকদিন আগেই পড়াতে এসে মেয়েকে একা পেয়ে গৃহ শিক্ষক মাত্র ন বছরের তাঁর নাবালিকা সন্তানের সাথে যৌন লালসায় মেতে ওঠেন। পাছে ঘটনা জানাজানি হয়,নাবালিকাকে ছুরিকাঘাতের ভয় দেখানো হয়। কিন্তু দিন কয়েক পরে ঘটনাটি ওই নাবালিকা তার মায়ের কাছে বললে মেয়েকে নিয়ে তাঁরা ডাক্তারের কাছে যান। তিনি আরও জানান,বাড়ির লোকেরা মেডিক্যাল রিপোর্ট করালে ঘটনার সত্যতা বেরিয়ে আসে। ২২ ফেব্রুয়ারি রাতে গ্রামের শিতলা মন্দির প্রাঙ্গণে গ্রামের মোড়লরা শালিসি সভা ডেকে অভিযুক্ত ওই গৃহ শিক্ষকের সাথে বসলে গ্রামবাসীদের উত্তেজনার পারদ চড়তে থাকে। নাবালিকার বাড়ির তরফে দাসপুর পুলিসে খবর দেওয়া হয়। ঘটনার গুরুত্ব বুঝে দাসপুর পুলিস ওই রাতেই অভিযুক্তে আটক করে।
গ্রামের মোড়লরা জানিয়েছেন,ঘটনাটির সাথে গ্রামের মান সম্মান জড়িত তাই বিষয়টি গ্রামের কয়েকজন মিলে মিটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। দাসপুর পুলিসের পক্ষে জানানো হয়,শিশুর উপর যৌন হেনস্থার অভিযোগ। অভিযোগটি যথেষ্টই গুরুত্বপূর্ণ। এমন গুরুতর অভিযোগে নাবালিকার পরিবারের উচিত ছিল আগে পুলিসের কাছে এসে ঘটনাটি জানানো। যদিও অভিযোগ দায়ের হওয়ার সাথে সাথেই দাসপুর পুলিস আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দিয়েছে।