রাজ্যের মধ্যে ঘাটাল মহকুমা এলাকা সড়ক দুর্ঘটনার দিক দিয়ে এখন প্রায়ই নাম করছে। কিন্তু দুর্ঘটনা এড়াতে ভ্রুক্ষেপ নেই আমজনতা থেকে প্রশাসনের। মাঝে অবশ্য বাস মালিকরাই নিয়ম করে হাতে গোনা কদিনের জন্য বাসের ছাদে উঠে যাতায়াত বন্ধ করেছিল। তা অবশ্য কথার কথা বলেই এখন মনে হবে। কারণ ঘাটাল মেদিনীপুর সড়কের বাসের ছাদের দিকে একটু তাকালেই তা বোঝা যায়।
তবে বছরের পর বছর ধরে ট্রেকারকে আষ্ঠেপৃষ্ঠে আঁকড়ে ধরে যাত্রাপথে রওনা দেওয়ার চিত্র কিন্তু যথেষ্ট পরিচিত। কিন্তু এই যাতায়াত কতটা নিরাপদ?
ট্রেকারের মধ্যে জনাদশেক যাত্রীর বসবার জায়গা থাকলেও যাত্রীবাহী মহকুমার সমস্ত রুটের ট্রেকারে যাত্রী পরিবহন হয় তার প্রায় দ্বিগুণ বা আরও বেশি।
ঘাটাল-কুঠিঘাট এলাকায় যোগাযোগের মূল মাধ্যম এই ট্রেকার। স্থানীয় এক সচেতন যুবক পার্থ ঘোষ জানান,তাঁদের এলাকায় ট্রাকারগুলিতে মানুষ বাঁদর ঝোলা হয়েই যাতায়াত করেন। এর জেরে মাঝে মধ্যেই ছোটোখাটো দুর্ঘটনা লেগেই থাকে। কিন্তু প্রশাসনিক ভাবে নেই কোনো সচেতনতামূলক উদ্যোগ। বহাল তবিয়তে সরকার ও পরিবহনের নিয়ম ফাঁকিদিয়ে দশের সিটে ঝুলছে কুড়ি ত্রিশ যাত্রী। রাস্তায় পুলিস প্রচারে নেমে সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফের কার্যকরী প্রচার সারলেও ট্রেকারের এহেন যাত্রী পরিবহনে নেই কোনো প্রশাসনিক বাধা।
তবে প্রশাসনের অবহেলার কারণ না খুঁজে আমরা যদি নিজেরা সচেতন হয়ে পরিবারের প্রতি দায়িত্বশীল হই, ট্রেকারে সিট ভরে গেলে যদি আর না সাইড রড ধরে ঝুলে ঝুলে যাতায়াত করি তা অনেক বেশি কার্যকরী সচেতনতা হতে পারে।
মোবাইলে নিয়মিত খবর পড়তে এইখানে ক্লিক করুন Whatsapp