যারা বলেন সুপারিশ করে ‘দিদি No1’ হওয়া যায়—তাঁদের উদ্দেশ্যে বলা, আপনারা এ কাহিনী তারা ভালো করে, মন দিয়ে পড়ে দেখুন। এই মহিলা কোন সুপারিশে ‘দিদি No1’এ সুযোগ পেলেন…।বছর বিয়াল্লিশের মানসী কর্মকারের বাড়ি ঘাটাল শহরের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে। ঘুরে এলেন ‘দিদি No1’ হয়ে। জীবনের কাহিনী ছিল লড়াই করে বেঁচে থাকার সংগ্রামের গল্প। সেটাই মানসীদেবী বলেছিলেন ঘাটালের অডিশনে। তারপর আর ফের অডিশনে ডাকা হয়নি। একেবারে ডাইরেক্ট শুটিং।
শ্বশুর মারা যাবার পর সংসারের অর্থনৈতিক অবস্থা খুব শোচনীয় হয়ে যায়। তারপর সংসার চালাতে সবজি বিক্রির পেশায় আসতে হয়। স্বামী মারা গিয়েছেন, দেওর মারা গিয়েছেন। বর্তমানে সংসার চালান মানসীদেবীই। সেই সঙ্গে তাঁর নিজের ছেলে-মেয়ের পড়াশোনার দায়িত্ব। মেয়েকে এম এ, বি এড করিয়েছেন তারপর বিয়ে দিয়েছেন। ছেলে মাল্টিমিডিয়া নিয়ে যাদবপুরে পড়ে। এখনও প্রচুর খরচ বহন করতে হয় তাঁকে সবজি বিক্রি করেই। বর্তমানে সংসারে শ্বাশুড়ি, জা, জায়ের সন্তান। তাদের সঙ্গে নিয়ে জীবনসংগ্রামের গল্পই মানসীদেবীকে ছিনিয়ে দিল দিদি নাম্বার ওয়ানের শিরোপা। উনিশে ডিসেম্বর রাজারহাটে শুটিং হয়েছে, কবে দেখা যাবে কর্তৃপক্ষ পরে জানিয়ে দেবে। মানসীদেবীর এপিসোডে রয়েছেন আরও বেশ কয়েজন মহিলা, যাঁদের জীবন ইতিহাস কতকটা মানসীদেবীর মতো। রয়েছেন একজন ডাব বিক্রেতা, একজন চাষি পরিবারের মহিলা আর একজন আয়া রয়েছেন। তাঁরা অবশ্য ঘাটাল মহকুমার নয়।
ঘাটাল ব্লকের আলুই হাইস্কুলের শিক্ষিকা শম্পা পাল বলেন, আসলে সোশ্যাল মিডিয়ায় মন্তব্য করার স্বাধীনতা রয়েছে বলে দায়িত্ব নিয়ে মন্তব্য করার মানসিকতাটা অনেকেই হারিয়ে ফেলেছেন। অনেক সময় নিজের যোগ্যতা নেই বলে হীনমন্যতার কারণে মনে হয় সেই বিষয়ে অন্য কারোরই যোগ্যতা থাকার কথা নয়। তাই কেবলমাত্র হেয় করার জন্যই নানারকম মনগড়া মন্তব্য করা হয়।