কেয়া মণ্ডল চৌধুরী, ‘স্থানীয় সংবাদ’, ঘাটাল: রামজীবনপুর শহরের পুলিশ ফাঁড়ির পাশেই একটি কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে অবৈধভাবে ও মোটা অঙ্কের বিনিময়ে আধার কার্ড তৈরির অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই সাইবার ক্যাফেতে সরকারি নিয়মের তোয়াক্কা না করেই জনপ্রতি ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা নিয়ে আধার সংক্রান্ত কাজ করা হচ্ছে, যদিও প্রতিষ্ঠানটির কাছে এর কোনও বৈধ লাইসেন্স নেই। এই বিষয়ে সেন্টারের মালিক অভিজিৎ লাহা টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করে জানান যে, সাধারণ মানুষের সুবিধার্থেই বাইরে থেকে একজন লোক এসে এই কাজ করেন এবং যাতায়াত খরচ হিসেবে ওই টাকা নেওয়া হয়। তবে ঘাটাল মহকুমা প্রশাসন জানিয়েছে, বিষয়টি প্রশাসনের জানা ছিল না এবং প্রশাসন খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
উল্লেখ্য, আধারের সরকারি নিয়ম অনুযায়ী বায়োমেট্রিক তথ্য আপডেট করার জন্য সরকার অনুমোদিত আধার সেবা কেন্দ্র, ব্যাঙ্ক বা পোস্ট অফিসেই যাওয়া বাধ্যতামূলক। সাধারণ সাইবার ক্যাফে বা দোকানে এই ধরণের কাজ করা কেবল আইনত দণ্ডনীয় নয়, বরং অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ আধার সার্ভারের সাথে যুক্ত বিশেষ মেশিন ও বায়োমেট্রিক ডিভাইস শুধুমাত্র সরকার অনুমোদিত অপারেটররাই ব্যবহার করতে পারেন। ফলে কোনো ব্যক্তিগত কেন্দ্রে বায়োমেট্রিক আপডেট করার দাবি করা হলে তা বড় ধরণের প্রতারণার শামিল হতে পারে বলে সরকারি পোর্টালে সতর্ক করা হয়েছে।

টাকা নিয়ে আধার তৈরির অভিযোগ




