সৌমেন মিশ্র ও সন্তু বেরা, ‘স্থানীয় সংবাদ’, ঘাটাল: প্রতিবেশীরা বলছেন শুক্রবার রাত প্রায় ৯টা নাগাদ দু-দুবার ঢিপ ঢিপ শব্দ হয়েছিল। বাড়ি থেকে কিছুটা দূরেই রাতের অন্ধকারে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হলো এক ব্যক্তিকে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই ব্যক্তি। পাড়া প্রতিবেশীদের প্রাথমিক অনুমান, কেউ হয়তো ওই ব্যক্তিকে প্রাণে মারার চেষ্টা করতে পারেন। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রায় সাড়ে ৩ ফুটের এক ভাঙাচোরো বাঁশ। কে বা কারা ওই ব্যক্তির উপর লাঠি নিয়ে আক্রমণ চালালো উত্তর নেই আক্রান্তের পরিবারের কাছেও। ঘটনা দাসপুর থানার শ্যামসুন্দরপুর গ্রামের। ওই গ্রামের বাসিন্দা সুদাম ভূঁইয়া বয়স প্রায় ৫৫ বৎসর হবে। শুক্রবার রাত প্রায় ৯ টা নাগাদ বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে এক পুকুরের পাড়ে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। গ্রামের অনেকেই দাবি তুলেছেন লাঠি দিয়ে কেউ তাকে আঘাত করেছে। কিন্তু কি কারণে উত্তর নেই কারো কাছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাতেই ওই ব্যক্তিকে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে ঘাটাল হাসপাতালে। জানা গেছে ওই শ্যামসুন্দর পুর গ্রামে ভুঁইঞ্যা পাড়ায় ঢালাই রাস্তার ধারেই পুকুর। সেই পুকুর পাড়েই সন্ধ্যে থেকে রাত পাড়ার অনেকেই আড্ডায় বসেন। আজই ওই সুদাম ওই পাড়েই বসে ছিলেন বলে মনে করা হচ্ছে। ঘটনাস্থলে পড়ে থাকতে দেখা গেছে তাজা চুল জড়ানো রক্তের পাশাপাশি পায়খানাও। রাস্তা থেকে পুকুরের গভীরতা প্রায় কাছাকাছি ৫ ফুট। ঠিক নিচে আছে এক বড়সড় পাথর। সেই পাথরেও চাপ চাপ রক্ত। অন্যদিকে রাস্তার ধারেও আছে চাপ চাপ রক্ত সাথে পড়ে এক বাঁশ যা একেবারে ভেঙে গেছে। রাত থেকেই পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। জানা গেছে সুদাম ভূঁইয়ার পরিবারে স্ত্রী গঙ্গা,দুই ছেলে ও দুই বৌমা আছে।