সন্তু বেরা: শিক্ষকরা সময়ে খেলার মাঠের পাশাপাশি বিদ্যালয়েও আসছেন না। রাস্তায় বেরোলে দেখি ১১টার পরও শিক্ষকরা রাস্তায়। কী শিক্ষা পাচ্ছে ছাত্রছাত্রীরা? খেলার মাঠে খেলার উদ্বোধনে গিয়ে প্রকাশ্যে কড়া ধমক দাসপুরের বিধায়ক মমতা ভুঁইয়ার।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহযোগিতায় চক্রস্তরীয় ৪২ তম বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হল। দাসপুর সবুজ সংঘের নারায়ণ ললিত স্মৃতি ময়দানে আজ মঙ্গলবার এই ক্রীড়া প্রতিযোগিতাটি হয়। জানা যাচ্ছে, নাড়াজোল-১ চক্র ক্রীড়া কমিটির ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত এই ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিশু শিক্ষাকেন্দ্র, নিম্ন বুনিয়াদি বিদ্যালয় ও মাদ্রাসার ছাত্রছাত্রীরা অংশগ্ৰহণ করেছিল। আজকের এই চক্রস্তরীয় ৪২ তম বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন দাসপুর বিধানসভার বিধায়ক মমতা ভূঁইয়া। দাসসুর-১ পঞ্চায়েত সমিতি, দাসপুর-১ গ্ৰাম পঞ্চায়েত সকলের একান্ত সহযোগিতায় প্রতিযোগিতাটি সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয়। পঞ্চায়েত স্তরে যারা বিজয়ী হয়েছিল তারা এই স্তরের প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার সুযোগ পেয়েছিল। আবার ওই স্তরে যেসব ছাত্রছাত্রীরা উত্তীর্ণ হবে তারা আবার মহকুমা স্তরে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পাবে। দাসপুর-১ পঞ্চায়েত সমিতির প্রায় ছ’টি গ্ৰাম পঞ্চায়েতের ছাত্রছাত্রীরা এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিল। এদের মধ্যে নন্দনপুর-১ গ্ৰাম পঞ্চায়েত বিজয়ী হয়েছে।
আজকের ক্রীড়া প্রতিযোগিতার অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নাড়াজোল-১ চক্র ক্রীড়া কমিটির সভাপতি সুনীল ভৌমিক, নাড়াজোল-১ চক্র অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক তুহিনকান্তি মণ্ডল ও অন্যান্য ব্যক্তবর্গরা। অন্যদিকে ৩০ শে জানুয়ারি নাড়াজোল ২ চক্রের চক্র ক্রীড়া প্রতিযোগিতা হয় দাসপুরের কাঁটা দরজায়। নাড়াজোল ২ চক্রের ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয় রাজনগর গ্রাম পঞ্চায়েত। ওই চক্রের শিক্ষক মানস আদক জানান রাজনগর গ্রাম পঞ্চায়েত মোট ১০৫ পয়েন্ট সংগ্রহ করে। এদিন মোট ২২৪ জন প্রতিযোগী এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। এই মাঠেই বিধায়ক তার বক্তব্যে শিক্ষকদের ঘড়ির দিকে নজর রেখে সময়ে বিদ্যালয়ে হাজির হতে বলেন।