ইন্দ্রজিৎ মিশ্র, স্থানীয় সংবাদ,ঘাটাল: ঘাটাল মহকুমায় প্রথম নেট হাউসের মাধ্যমে উন্নত প্রজাতির আলু বীজ উৎপাদন পদ্ধতি খতিয়ে [✔‘স্থানীয় সংবাদ’-এর সমস্ত কিছু জানতে এখানে ক্লিক করুন] দেখতে পরিদর্শনে এলেন জেলা কৃষি দপ্তরের আধিকারিকরা। হাইট্রেক পটাটো সিট প্রোডাকশনের ভানুপ্রকাশ মণ্ডল ,কল্যাণ গঙ্গোপাধ্যায়, জেলা কৃষি দপ্তরের আধিকারিক হিমাদ্রিশেখর দাস, ঘাটাল মহকুমা সহকারী কৃষি অধিকর্তা (প্রশাসন) শ্যামাপদ সাঁতরা, দাসপুর-১ ব্লকের কৃষি আধিকারিক শুকদেব ঘুটিয়া, দাসপুর-২ ব্লকের কৃষি আধিকারিক ইন্দ্রনীল সামুই সহ কৃষি দপ্তরের একটি প্রতিনিধি দল আজ দাসপুর-১ ব্লকের নন্দনপুর-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের রামচন্দ্রপুর গ্রামের কৃষক শচীনন্দন মণ্ডল ও সরবেড়িয়া-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের রাধানগর গ্রামের কৃষক বিষ্ণুপদ শাসমল এর কৃষি ক্ষেত পরিদর্শন করেন।
উল্লেখ্য, দাসপুর-১ ব্লকের রামচন্দ্রপুর গ্রামের শচীনন্দন মণ্ডল নামে ওই কৃষক সম্প্রতি শুরু করেছেন নেট হাউসের মাধ্যমে উন্নত প্রজাতির আলু বীজ উৎপাদন। এই উৎপাদন পদ্ধতিতে বীজ উৎপাদনের ক্ষেত্রে তিনিই প্রথম বলে দাবি তাঁর। তিনি বলেন, এই পরীক্ষামূলক পদ্ধতি সফল হলে এলাকার কৃষকরা উপকৃত হবেন। তাদের চড়ামূল্যে বাজার থেকেই পাঞ্জাবের আলু আর কিনতে হবে না। প্রতিটি কৃষক সঠিক পদ্ধতি মেনে উন্নত মানের বীজ উৎপাদন করে তাঁরাই ফসল ফলাতে পারবেন। এছাড়াও তিনি বলেন, দশ কাঠা আলু চাষ করতে তাঁর বর্তমান সময়ে খরচ হয়েছে আনুমানিক ৫০ হাজার টাকা এবং তিনি আশা রাখছেন এই চাষ থেকে তাঁর বিপুল অর্থ লাভ হবে। বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে এসে তিনি তাঁর নিজস্ব জমিতে প্রায় ১০টি প্রজাতির আলুর বীজ লাগিয়েছেন। এগুলোর মধ্যে যে সমস্ত বীজ উৎপাদনের ক্ষেত্রে সফল হবে সেগুলি তিনি অন্যান্য কৃষকদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে চান বলে জানান তিনি। একটি প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকায় শুরু করেছেন এই বীজ উৎপাদন পদ্ধতি। এই আলু বীজের উৎপাদন পর্ব যেখানে, সেখানে ঢোকার ক্ষেত্রেও চরম ভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হয়। অর্থাৎ স্যানিটাইজার ব্যবহার করে পা ধুয়ে সেখানে প্রবেশ করতে হয়। কোনোভাবেই আলুর বীজ জীবাণু দ্বারা যেন আক্রান্ত না হয়। সেখানে উপস্থিত হয়ে জেলা কৃষি দপ্তরের আধিকারিক পার্থপ্রতিম ঘোষ বলেন, এই প্রকল্প সফল হলে উপকৃত হবেন চাষিরা। তাই এক্ষেত্রে বীজ উৎপাদকারীকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। মাঝেমধ্যেই দপ্তরের পক্ষ থেকে পরিদর্শন করা হবে এলাকা। কোনও সমস্যা থাকলে তাও বুঝিয়ে দেওয়া হবে।
দাসপুর -১ ব্লকের কৃষি আধিকারিক সুকদেব ঘুটিয়া জানান, এভাবে উন্নত প্রথায় আলু চাষে গতি আনতে তাদের দপ্তরের তরফে সব ধরনের সহযোগিতা থাকবে। এমনকি এই বিষয়টিকে কৃষি দপ্তর গুরুত্ব দিয়ে দেখবে বলেও জানান তিনি।যাতে কৃষকদের বীজ কিনতে গিয়ে অনেক টাকা গুনতে না হয় তার জন্যই তাঁরা এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেবেন।