তৃপ্তি পাল কর্মকার, স্থানীয় সংবাদ, ঘাটাল: রাত দুটো থেকে হাসপাতালে লাইন দিয়েও যেখানে কোভিড ভ্যাকসিন পেতে নাজেহাল হতে হচ্ছে এবং লাইন দিয়েও মিলছে না ভ্যাকসিন। ঠিক সেই মুহূর্তে বাড়ির সামনে সাধারণ মানুষের জন্য ভ্যাকসিন ক্যাম্প করার ব্যবস্থা করলেন গোপালপুরের বাসিন্দা এবং ভারতের প্রথম সারির স্বর্ণশিল্পপতি এস এস আলম তথা শেখ সামসু আলম। কোনও ঝামেলা ছাড়াই কোভিড ১৯ ফ্রি ভ্যাকসিন ক্যাম্পের আয়োজন করে সাধারণ মানুষের কাছে মুশকিল আসান করলেন ওই স্বর্ণশিল্পপতি। খানজাপুর
গ্রামপঞ্চায়েত এলাকার স্বর্ণশিল্পী ও তাদের পরিবারের লোকজন ছাড়াও খাঞ্জাপুর গ্রামপঞ্চায়েত এলাকার সাধারণ মানুষ এই ক্যাম্প থেকে ভ্যাকসিন নিতে পারবেন। বেশ কয়েকদিন ধরেই চলবে ক্যাম্পটি। উদ্যোক্তা এস এস আলম বলেন, আমি চাই খাঞ্জাপুর গ্রামপঞ্চায়েত এলাকায় একটি মানুষও যেন ভ্যাকসিন থেকে বঞ্চিত না হন। সেজন্যই এই উদ্যোগ।
সামসু আলমের ক্যাম্প থেকে যে ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে সেটা নিয়ে সন্দেহ বা প্রশ্ন তোলার অবকাশ নেই। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ শ্যামপদ পাত্র বলেন, এটা কলকাতার কসবার ভুয়ো আই.এ.এস দেবাঞ্জন দেবের ভুয়ো ক্যাম্প নয়। স্বাস্থ্য দপ্তরের অনুমতি নিয়েই এই ক্যাম্প করা হয়েছে। আমাদের এলাকার বহু যুবক সোনার কাজের সঙ্গে যুক্ত। তাঁদের অনেকেরই ভ্যাকসিন হয়নি সেজন্য মাইক্রো, স্মল এবং মিডিয়াম শিল্প মন্ত্রকের কাছ থেকে বিশেষ ছাড়পত্রের ব্যবস্থা করে সামসু আলম এই ক্যাম্পটির আয়োজন করেছেন। তাই এই ক্যাম্পের পুরো ভ্যাকসিনই জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে আসছে। ভ্যাকসিনও দিচ্ছেন দাসপুর-২ ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাক্তার সোমনাথ দে’র তত্ত্বাবধানে সরকারি স্বাস্থ্য কর্মীরা। সোমনাথবাবু নিজে নিয়মিত এই ক্যাম্পে এসে ভ্যাকসিন দেওয়ার নজরদারি করছেন। তাই এই ক্যাম্প থেকে ভ্যাকসিন নেওয়ার পরই কেন্দ্রীয় সরকারের ওয়েব সাইট https://www.cowin.gov.in/ থেকে ভ্যাকসিনের শংসাপত্রও ডাউনলোড করা যাচ্ছে।
খানজাপুর গ্রামপঞ্চায়েতের কার্যালয়ের সামনে সামসু আলমের বাড়িতেই এই ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়েছে। বাড়ির পাশে বিশাল আয়োজন ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পের। সাধারণ মানুষ কোভিড বিধি মেনে যাতে ভ্যাকসিন নিতে পারেন সেদিকে নজর রেখেই তৈরি হয়েছে এই বিশাল ক্যাম্প। এভাবে হাতের নাগালে ভ্যাকসিন পেয়ে খুশি সাধারণ মানুষ।