নিজস্ব সংবাদদাতা: রাজ্য সরকারের দেওয়া দশ হাজার টাকায় নতুন মোবাইল বা ট্যাব না কিনে কিছু টাকার বিনিময়ে ভুয়ো বিল করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল ঘাটালের কিছু মোবাইল দোকানের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, দুশো-পাঁচশো টাকার বিনিময়ে কিছু কিছু দোকানদার ভুয়ো বিল তৈরি করে দিচ্ছে ছাত্র-ছাত্রীদের ও অভিভাবকদের। ঘাটালের মোবাইল কেয়ার দোকানের কর্ণধার রেজাউল মল্লিক বলেন, আমাদের দোকানেও অনেকে এই ভুয়ো বিল করে দেবার জন্য আবদার করেছিল, আমরা করে দিইনি। তবে ঘাটাল, দাসপুর, বরদা সহ বেশ কিছু জায়গায় এইভাবে ভুয়ো বিল করে দেওয়া হচ্ছে বলে খবর আছে। ঘাটালের বাসিন্দা অনির্বাণ ঘোষ, পরিতোষ বেরা, সৌম্যাদীপ দাসেরা বলেন, সরকার টাকা দিচ্ছে অনলাইনে পড়াশোনা করতে মোবাইল কেনার জন্য। কিন্তু সেই টাকায় মোবাইল না কিনে অনৈতিকভাবে ভুয়ো বিল দাখিল করা হচ্ছে, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।
এদিকে রাজ্যের স্কুলগুলিতে উচ্চমাধ্যমিক পড়ুয়াদের অ্যাকাউন্টে দশ হাজার টাকা করে পাঠানো হয়েছে মোবাইল বা ট্যাব কেনার জন্য। সেই টাকায় মোবাইল কিনে রসিদ দেখাবার জন্য শিক্ষকগণ চাপ দিচ্ছেন। লকডাউনের সময় ইতিমধ্যেই বহু ছাত্র-ছাত্রী গাঁটের টাকা খরচ করে নতুন মোবাইল বা ট্যাব কিনে নিয়েছে। সেই পুরানো বিল বা ক্যাশ মেমো এখন আর চলবে না। যারা নতুন মোবাইল কিনে নিয়েছে তাদের আবার একটি করে নতুন মোবাইলের কোনও দরকার নেই। তাই অনেকেই কিংকর্তব্যবিমূঢ় অবস্থা। এমতাবস্থায় অনেকেই অল্প কিছু টাকার বিনিময়ে মোবাইল দোকানদারের কাছ থেকে ভুয়ো বিল তৈরি করে স্কুলে জমা দিচ্ছে।