শ্রীকান্ত ভুঁইঞা: পরিবারে নুন আনতে পান্তা ফুরায় অবস্থা। অভাবের টানে ছোট ছোট স্বপ্নগুলো বাস্তবে রূপায়িত করতে বেশ বেগ পেতে হয় খেটে খাওয়া অসহায় পরিবারগুলির। ওই পারিবারগুলির ক্ষুদে প্রতিভাগুলি তাই উপার্জনের তাগিদে বাস্তবের কঠিন মাটিতে কোমর বেঁধে নামতে দ্বিধা করে না। দাসপুরের খুকুড়দহ গ্রামে এমনই এমন তিন অসহায় পরিবারের মধ্যে বড় হওয়া তিন ক্ষুদে ছাত্র তথা শিশু শিল্পীর চিত্র ধরা পড়ল ‘স্থানীয় সংবাদ’-এর ক্যামেরায়। ওই তিন শিশু শিল্পী শ্রীনাথ ভুঁইঞা, স্বরূপ পাড়ই ও শুভঙ্কর রুইদাস পঞ্চম, ষষ্ঠ ও চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র। করোনার জন্য স্কুল বন্ধ থাকায় ওই গ্রামের একটি হরিনাম সম্প্রদায়ের ম্যানেজার শ্রীমন্ত ভুঁইঞার কাছে খোল-মৃদঙ্গ বাজানো শিখে তাক লাগিয়েছে তিনজনেই। বর্তমানে তিনজনেই প্রতি পূর্ণিমায় বাড়ি বাড়ি হরিনাম সংকীর্তন সহকারে বাতাসা হরিলুটে খোল-মৃদঙ্গ বাজিয়ে এলাকাবাসীর মন জয় করে চলেছে। শুধু তাই নয়, গ্রামের যে কোনও হরিনাম সংকীর্তন অনুষ্ঠান হলে ছুটে যায় এরা। ওদের বাবা-মা জানান, অভাবের টানে তেমন বাদ্য-বাজনা কেনার সামর্থ্য নেই। এই খোল-মৃদঙ্গ বাজানোর মাধ্যমে তারা ভবিষ্যতে আরো বড় শিল্পী হয়ে উঠবে বলে আশা পোষণ করছেন তাঁরা। ওই তিনজন ক্ষুদে পড়ুয়ার খোল বাজানোর ছন্দে মাতোয়ারা এলাকাবাসী।