তৃপ্তি পাল কর্মকার: ঘাটালের নম্বর ওয়ার্ডের দুধের বাঁধে মানিক কাঁড়ি নামে বছর পঞ্চাশের ব্যক্তি। দীর্ঘদিন পেটের অসুখে ভুগছিলেন। আজ দুপুরে মারা যাওয়ার পর বাড়ি থেকে ডিগ্রিতে করে নিয়ে আসা হয় তার মৃতদেহ নদীবাঁধে। তারপর সেখান থেকে কাঁধে করে ছাতি জল পেরিয়ে শিলাবতী নদীর পাড়ে শ্মশান চুল্লি তে নিয়ে যাওয়া হয়। [•এই খবর সম্পর্কিত ভিডিওটি দেখতে চাইলে ▶এখানে ক্লিক করতে পারেন।]
মরেও দুর্ভোগের শেষ নেই। দীর্ঘ রোগ ভোগের পর আজ ২৮ আগস্ট মৃত্যুতে মুক্তি পেলেন ঘাটাল ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মাণিক কাঁড়ি। কিন্তু তার নশ্বর দেহের জন্য যে এতো দুর্ভোগ ছিল সেটা তার পরিবারের সদস্যরা ভাবতেও পারেননি। শিলাবতির জলে জলমগ্ন ঘাটালের একাংশ। নয় নম্বর ওয়ার্ডে মাণিকবাবুর বাড়িটুকু কোনওমতে জেগে আছে। চারিদিকে জল থই থই। এই অবস্থায় মৃতের সৎকার হবে কিভাবে? যেহেতু মৃত তাই কোনও নৌকা রাজি হয়নি মৃতদেহ বহন করতে। অগত্যা একটা ডিঙিতে করে স্রোতের ঘূর্ণী পেরিয়ে মৃতদেহ নদী পাড়ে আনেন বাড়ির পরিজনেরা। তারপর আবার মৃতদেহ কাঁধে নিয়ে ছাতি সমান জল পেরিয়ে তবে শ্মশান চুল্লি। তারপর মানিকবাবুর দেহ দাহ করা হয়।
ঘাটাল মহকুমার সমস্ত খবর পেতে আমাদের MyGhatal মোবাইল অ্যাপ ডাউনলোড করুন [লিঙ্ক 👆] এবং ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে রাখুন[লিঙ্ক 👆]।
Home এই মুহূর্তে ব্রেকিং মৃত্যুর পরেও দেহ নিয়ে দুর্ভোগ:ঘাটাল শহর জলমগ্ন,গলা সমান জল পেরিয়ে মৃতদেহ সৎকার