মেসেজের ভুল ব্যাখ্যার জেরে লকডাউন অমান্য করেই লম্বা লাইন ব্যাংকের দরজায়

শুভম চক্রবর্তী: নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে একাউন্ট থেকে টাকা তুলে না নিলে ফেরত চলে যাবে এমনই ধারণার বশবর্তী হয়ে লকডাউন অগ্রাহ্য করেই ভোর থেকেই লম্বা লাইন পড়ছে মহাকুমার অধিকাংশ ব্যাংকের সামনেই।
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা করেন দেশজুড়ে লকডাউন পরিস্থিতিতে আর্থিক সাহায্য বাবদ দেশের মহিলাদের
জন ধন যোজনার অন্তর্গত ব্যাংক একাউন্ট আর্থিক সাহায্য করা হবে। ঘোষণা মতো এই যোজনা অন্তর্গত অধিকাংশ একাউন্টেই আর্থিক সাহায্য পাঠানোও হয় সংশ্লিষ্ট দপ্তরের থেকে এবং গ্রাহকের মোবাইল নাম্বারে মেসেজ পাঠিয়েও জানিয়ে দেওয়া হয়। সমস্যাটা হয় ঠিক এখানেই। ইংরেজিতে পাঠানো মেসেজে জানানো হয় আর্থিক সাহায্যটি এপ্রিল মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের পরে নিজের অ্যাকাউন্ট থেকে তুলতে পারেন গ্রাহকরা। ভাষাগত সমস্যার কারণে কিছু জন ভেবে বসেন দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যেই মধ্যেই টাকা তুলে নিতে হবে। আর ক্রমশ এই কথাটিই ছড়িয়ে পড়ে পৌরসভার অধিকাংশ ওয়ার্ড গুলিতে। আর এই গুজবের বশবর্তী হয়েই ভোর থেকেই লাইন দিচ্ছেন গ্রাহকেরা ব্যাঙ্কগুলির সামনে।পরিস্থিতি এমন হয়ে দাঁড়ায় যে লাইন সামলাতে ও নির্দিষ্ট সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য থানা থেকে সিভিক ভলান্টিয়ারদের নিয়োগ করতে হয় ব্যাঙ্কগুলির সামনে।
মাসের প্রথম দিক হওয়ায় সরকারি কর্মীদের বেতন তোলার প্রবণতা থাকে, এছাড়া বার্ধক্য ভাতার সাহায্য এসে পৌঁছেছে ফলে বয়স্কদের ভিড়ও রয়েছে। এরই মধ্যে এমন গুজব এর জেরে মহিলাদের যে পরিমাণ ভিড় তাতে প্রায় নাজেহাল অবস্থা কর্মীদের।
ঘাটালের এস বি আই এর একটি শাখা ব্যাংক এর কর্মী বলেন এইসময় জনধন যোজনার মহিলা গ্রাহকদের কিছুতেই বোঝানো যাচ্ছে না আর্থিক সাহায্য কোনভাবেই ফেরত যায় না। তিনি বলেন সকাল থেকেই ভিড় করে দাঁড়িয়ে ছিলেন গ্রাহকেরা। ব্যাংক খোলার পর আমরাই উদ্যোগ নিয়ে নির্দিষ্ট দূরত্ব মেনে লাইন করিয়েছি। এমনিতেই লকডাউন এর জেরে ব্যাংকের সময় কমানো হয়েছে তার উপর এমন অদ্ভুত পরিস্থিতিতে বেশ সমস্যায়।একই অবস্থা ঘাটালের ইউ.কো ব্যাঙ্কেও। এমনিতেই ঘাটাল বাজারের মধ্যে শাখাটি হওয়ার অতিরিক্ত জায়গার অভাব। তবু ব্যাংকের কর্মীরা দাগ টেনে নির্দিষ্ট দূরত্ব চিহ্নিত করলেও ভিড়ের মধ্যের জনতা সেইসব তোয়াক্কা করছে কই।

ঘাটাল মহকুমার সমস্ত আপডেট তে যুক্ত হন আমাদের সাথে!