অরুণাভ বেরা: সুবর্ণরেখার তীরের জনপদের সংস্কৃতি তাঁর লেখায় সাবলীল ভঙ্গিতে উঠে এসেছে। তিনি কথা সাহিত্যিক নলিনী বেরা। তাঁর গল্প-উপন্যাসের কেন্দ্রবিন্দু ওই অঞ্চলের সংস্কৃতি, সমস্যা, আর্থ সামাজিক কাঠামো।
৩ নভেম্বর ‘সৃজন’ পত্রিকার উদ্যোগে ‘সৃষ্টি’ সভাকক্ষে নলিনীবাবুকে সম্মানিত করা হলো। তাঁর হাতে মানপত্র সহ স্মারক উপহার তুলে দেওয়া হয়। বিদ্যাসাগরের দ্বিশত জন্ম স্মরণে, নলিনীবাবুকে বিদ্যাসাগরের প্রতিকৃতি উপহার দেওয়া হয়।‘সৃজন‘ পত্রিকার সম্পাদক অধ্যাপক লক্ষ্মণ কর্মকার বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এই পত্রিকা প্রকাশিত হয়ে চলেছে। শুধু সাহিত্য চর্চা নয় তরুণ লেখকদের অনুপ্রাণিত করা আমাদের অন্যতম উদ্দেশ্য। লক্ষ্মণবাবু, নলিনীবাবুর লেখা সম্বন্ধে সংক্ষেপে বলেন।
নলিনীবাবু অবসরপ্রাপ্ত ডব্লুবিসিএস-‘এ ‘ গ্রুপের অফিসার। তিনি এই বছর ‘আনন্দ’ পুরস্কার পেয়েছেন। এছাড়াও তিনি ‘ বঙ্কিমচন্দ্র স্মৃতি ‘পুরস্কার সহ বিভিন্ন সম্মান পেয়েছেন । তাঁর প্রথম উপন্যাস ‘ভাসান’ ‘। অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর নলিনীবাবুর প্রথম গল্প ‘ঝাড়েশ্বর পানির ইলিশ ধরা’ । নলিনীবাবু তাঁর বক্তব্যে কিশোর জীবনের কথা এবং সুবর্ণরেখার তীরবর্তী অঞ্চলের সংস্কৃতির কথা বলেন ।
এদিন ডাক্তার তুষারকান্তি ঘোষ-এর ‘একটি তারার রূপকথা’, তপন জ্যোতি মাজি ও গুরুপদ মুখোপাধ্যায়ের’ দ্বিপ্রহরের মুখ, দিলীপকুমার বাগের ‘ ‘হৃদয় ছুঁয়ে আছো’, পবিত্রকুমার ভোক্তার ‘বীর বন্দর’, বঙ্কিম মাজীর ‘ ‘ক্রমশ মিছিল বাড়ে’ ‘কাব্যগ্রন্থগুলি প্রকাশিত হয়। এছাড়াও সৃজনের ‘বিশেষ সংখ্যা ‘ বিষয়: নলিনী বেরা ‘প্রকাশিত হয়’।
এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সুরঞ্জন মিদ্দে, বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. বাণীরঞ্জন দে, মেদিনীপুর কলেজের অধ্যাপক ড. ফটিকচাঁদ ঘোষ, কবি বিপ্লব গঙ্গোপাধ্যায়, কবি দেবাশিস প্রধান, কবি আশীস মিশ্র, কবি সুকান্ত সিংহ প্রমুখ।
ওইদিনের অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ থেকে চারজন সাহিত্যিক এসেছিলেন। এঁরা হলেন চিন্ময় রায় চৌধুরি, আব্দুল গনি মিয়াঁ, এম আর সঞ্জু এবং অঞ্জলি চৌধুরি। অনুষ্ঠানটি সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট গবেষক ও প্রাবন্ধিক উমাশঙ্কর নিয়োগী।