পেশা প্রাথমিক শিক্ষকতা,নেশা ছাত্রছাত্রীদের জন্য সর্বদা কিছু করা। শিক্ষক অনুভব করেন তাঁর বিদ্যালয়ে কী আবশ্যক। অনেক চাহিদার মধ্যে গ্রন্থাগার অগ্রগন্য। আর সেই চাহিদাই পূরণ করলেন শিক্ষক।
সারা বছর পড়াশোনার পাশে ছাত্রছাত্রীদের সার্বিক বিকাশের লক্ষ্যে নাচে গানে খেল ধূলার মধ্যদিয়ে স্কুলে বাৎসরিক অনুষ্ঠান। এ যেন দাসপুর-২ ব্লকের তিয়রবেড়িয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকা ও এলাকাবাসীদের নেশা হয়ে দাঁড়িয়েছে। শিক্ষক শিক্ষিকা ও গ্রামবাসীদের যৌথ উদ্যোগে বছরের পর বছর ধরে চলা এই বাৎসরিক অনুষ্ঠান এখন ঘাটাল মহকুমা ছাড়িয়ে সারা জেলারও নজর কাড়ছে।
বছরের শুরুতেই ১ ও ২ জানুয়ারি দু দিন ধরে তিয়রবেড়িয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বাৎসরিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হল। ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অশোক সামন্ত তাঁর পিতা বঙ্কিম বিহারী সামন্তের স্মৃতিতে নিজের খরচে বিদ্যালয়ে একটি পাঠাগার করেদিলেন। পাঠাগারটির শুভ উদ্বোধন করলেন রাজ্যের জল সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র।
অশোকবাবু জানান,ছাত্রছাত্রীদের মধ্য থেকে কাল্পনিক শক্তি ক্রমশ হারাচ্ছে। এর মূল কারণ মোবাইল,টিভি। কিছু কল্পনার আগেই কানে শোনা গল্পগুলো তারা মোবাইল বা টিভিতে দেখে নিচ্ছে। তাদের কিছু কল্পনা করতে হচ্ছে না। বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের বই মুখী করতেই বিদ্যালয়ে এই গ্রন্থাগারের ব্যবস্থা করা।
মোবাইলে নিয়মিত খবর পড়তে এইখানে ক্লিক করুন Whatsapp