নিজস্ব সংবাদদাতা: ঘাটালের স্কুল ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ অভিযুক্ত শিক্ষকের মুক্তির দাবিতে পথে নামল পড়ুয়ারা। ঘাটাল শহরের গুরুদাস হাইস্কুলের এক সপ্তম শ্রেণীর শ্লীলতাহানিতে অভিযুক্ত ওই স্কুলেই শিক্ষক চণ্ডীদাস গড়াই বর্তমানে বিচারাধীন বন্দি। পুলিশ তাকে ১১ ফেব্রুয়ারি গ্রেপ্তার করে। বর্তমানে বিচারাধীন বন্দি শিক্ষকের মুক্তির দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে ওই স্কুলের বর্তমান ও প্রাক্তন পড়ুয়ারা। তারা বলে, চণ্ডীবাবু ওই ধরনের কাজ করতেই পারেন না। তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। বরং যে ওই স্যারের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছে তারই শাস্তি চেয়ে ১৪ ফেব্রুয়ারি মিছিল করল পড়ুয়ারা। এর আগে ১২ ফেব্রুয়ারি বেশ কয়েক জন প্রাক্তন ছাত্র ঘাটাল থানায় গিয়ে স্যারকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ জানায়। যদিও পুলিশ জানিয়ে দিয়েছে, বিষয়টি বিচারাধীন। তাই এনিয়ে পুলিশের কিছু করার নেই।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, শ্লীলতাহানীর ঘটনাটি ৪ ফেব্রুয়ারি ঘটেছিল। অভিযুক্ত কর্মশিক্ষার ওই শিক্ষক সপ্তম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে শ্রেণীকক্ষ ঝাঁটা দেওয়ার নাম করে নির্জন একটি ক্লাসে নিয়ে যান। সেখানেই ছাত্রীটির শ্লীলতাহানী করা হয়। প্রথমের দিকে ছাত্রীটি শ্লীলতাহানির বিষয়টি বাড়িতেও জানায়নি। কিন্তু ওই ঘটনার পরই ছাত্রীটি মানসিক ভাবে ভেঙে পড়ে। পরে তার মানসিক অবস্থা দেখে বাড়ির লোকেদের সন্দেহ হয়। তখনই তাকে চাপ দিতে পুরো ঘটনা খুলে বলে। ১১ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় বাসিন্দারা ওই শিক্ষককে গ্রেপ্তারের দাবি তুলে স্কুল গেটে বিক্ষোভ দেখান। পুলিশ শিক্ষককে গাড়িতে তুলতে ক্ষিপ্ত জনতা শান্ত হয়।